চৌত্রিশ দিন
অনেকদিন হলো, আমার হিসাবে প্রায় ৩৪ দিন। ক্যালেন্ডার যেন সেই চৌত্রিশ দিন আগে থেমে গেছে। তারওপর যেন একটি ডাহুক একটু বসে থেকে, মধ্যাহ্ন বিরতিতে উড়ে গেছে। সেই ডাহুকের সাথে দূর থেকে কথা বলি। তার নড়াচড়া দেখি। তার হাত দেখি। সেই হাতে আমার ভবিষ্যত দেখি। যেন হাতের ওপর, ভবিষ্যতের ওপর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে সেই ডাহুক। তার ডাক শুনি তারবার্তায়। সিনেমার গল্প শুনি। একটি জম্বিকে তাড়া করছে একজন মানুষ, অসংখ্য মানুষ। নায়ক জিতবে তো? হয়তো, হয়তো না। আমরা একসাথে পাতার ওপর পিঁপড়ের হেঁটে যাওয়া দেখি, গাছ দেখি। গাছের স্বপ্ন দেখি। সারিসারি গাছ শনশন শব্দে ভেঙে দিচ্ছে প্রার্থণাকালীন সমস্ত নীরবতা। যেন গাছের পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য ডাহুক। যা আসলে একটি ডাহুকই। ফলে মৃত গাছগুলোও আকস্মিক জীবিত হয়ে উঠে। তার ভেতর এই প্রাণ মহাকালের স্তর পার করে মিশে যাচ্ছে বিকেলের ভেতর। যেসব বিকেল আমাদের একসাথে দেখা হয়নি। সেসব ফিরে ফিরে আসে। এবার আমরা দেখব। সমস্ত বিকেলে ঘুড়ি উড়িয়ে তার নীচে মেলে দেব সাদা সব রুমাল। আমাদের ফিরে আসার শব্দে কারো ঘুম ভাঙবে না। কেবল নিঃশ্বাসের শব্দ থাকবে।
মন্তব্য