প্রথম কবিতা
কবিতার অলৌকিক ভাষা দেখি,
কাব্যের
গভীরে নিজের কিছু
স্বীকৃতি আছে কিনা- সেসবও
এখন
পাঠযোগ্য চিন্তা। এই
স্মারকবেদী
ঘেরাও করে রাখিঃ 'চিরদিন
তুমি যে আমার' শীর্ষক
সিনেমার কথা মনে পড়ে।
আহ্লাদী, এইরূপ প্রশ্ন করো,
বলো
আমাদের যা কিছু চলে
গেছে, সেকাল
থেকে একালে ট্রান্সফার হয়ে
আসা
ব্যক্তিগত কীবোর্ড, ধীরগতির
ইন্টারনেট সংযোগ, প্রান্তিক
কৃষকদের সহায়তায় ফলানো ধানের লে-আউট চোখে পড়ে?
বিবিধ উপাদানে সমৃদ্ধ - এই কথা বারবার
লেখা হয়ে গেছে।
বহু পুরাতন
আদিম ও প্রাগুক্ত তথ্যাদি
বিচার-বিশ্লেষণসমেত একটি কালোত্তীর্ণ
কি যে লিখি- হিজিবিজি,
পাঠ করে
আনন্দ পাবার বদলে
আরো জঘন্য ঠেকে, ব্যাকগ্রাউন্ডে
কারা যেনো বিমূর্ত ক্রিস্টাল
থুয়ে রেখেছে। শালারা।
তদা উপভোগ করি।
লিখবার জন্যে উন্মুক্ত
যেহেতু রাখা আছে সব,
যদিও বিরক্তিকর,
টেলিভিশন এবং ফিল্মের ফেক-ফালতু
ভেকধারী পড়াশোনা। কবিতার
কাছে আসি।
জানাই প্রার্থনা, নামাজ, চড়-থাপ্পড়
প্রশ্ন করি- তোমাদের মতবিরোধ
দিয়ে
আমার বাল ছেঁড়া যায়। চাইলে
দু'চারটি যৌন-বিকৃত
শব্দ জুড়ে দেই- সিগারেট
খাওয়া থেকে বিরত রাখি
ব্রাজিলিয়ান ঘোড়াদের। ফলতঃ
নিজের ভাঁড়ারে অদ্ভুত সম্পাদনা হয়
পঁয়ত্রিশ
মিলিমিটার। তাজ্জব
মার্কা কাজকারবার
দেখে বুদ্ধ সেজে থাকি। অথচ
বাইরে বাড়তে থাকে পৃথিবীর
তাপ
বিদ্যুৎ চুরি ছিনতাই হয়,
না খেয়ে থাকা
মুগ্ধ রেকুনের
আশ্চর্য জাদুকরী খিদে জিভে-নখে।
দ্বিতীয় কবিতা
এসো, এই প্ররোচনায় ক্রমশ
লিপ্ত হই
যে- আমরা আমাদের দিকে
এগোবো, আর
চিন্তা করবো কীভাবে নিজেদের
সাথে
নানাবিধ প্রেমের তৎপরতা চালানো যায়।
ফলতঃ আমাদের বিড়ম্বনাসমূহ একটি
ক্লান্তিকর অনুবর্তন লাভ করবে।
এসো, আমরা নিজেদের ন্যারেটিভ
নিয়ে বসি
দেখি- কোথাও কোনো খুঁত
পাওয়া যায় কি না
[যার দ্বারা স্টোরিটেলিংয়ে
মল্লযুদ্ধ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা
থেকে যায়]
দৃশ্যনির্মাণের বেলায় আমরা আড়ষ্ট
না হয়ে
স্বতঃস্ফূর্ত চিল্লাচিল্লি করবো। আর্টিস্টদের
বাধ্য করবো সালসা নাচতে। সংগীতায়োজনের
বেলায় কর্তব্যরত চিকিৎসককে আমরা কিছু বেশি
টাকা দিতে পারি- যেন
তিনি দু'দিন না
ঘুমোতে পারেন।
প্রণয়-নিবেদনের সময় আমরা মুখ
চেপে ধরে হাসতেও পারি-
এই ভেবেঃ
হিরো-হিরোইন চুমু খাওয়া
শেখেনি। ঠোঁটের
বিবিধ ম্যানার দেখে
আমরা ওটাকে পুরোদস্তুর বেয়াদব
বলে অভিহিত করতেও পারি।
এসো, আমরা কারুকে ধরে
বসিয়ে দিই সামনে
এবং বলি- তোমাদের এইসব
সময়ের আবির্ভাব হওয়ার দরুন
এখন প্রচুর সমতলভূমি গড়ে
উঠছে। ধ্বংস
হচ্ছে উঁচু আবাসস্থল।
মানুষের
বাসস্থানের পার্থক্য তৈরি হওয়ার অর্থ
রুচি-আচারের
ডাইভার্সিফিকেশন।
অর্থ উৎপাদন হওয়া ব্যতীত
এবং
আলোচনার উৎস কমে যাওয়ার
কারণ তৈরি হবার কারণে
সম্পর্কযুক্ত মানুষের পরস্পর প্রতিবিম্ব বিপরীতধর্মী।
মন্তব্য