নিষ্কলুষ মৃত্তিকা
তারচে বরং মেরেই ফেলো-
তিনশোটা বুলেটে ঝাজরা করে দাও আমার সমস্ত বুক।
ক্ষতবিক্ষত করে দাও আমার হৃদপিণ্ড;
যেনো আমার হৃদযন্ত্র'র ক্রিয়া
তোমার হাতে বন্ধ হয়!
শরীর থেকে টেনে বের করে ফেলো
আমার ফুসফুস।
তবুও আমায় কলুষিত কারো না।
তারচে বরং মেরেই ফেলো-
চৌষট্টিটা তীর এসে বিধুক আমার সমস্ত শরিরে;
আমার কপালে,
চোখে,
গালে,
গলায়,
ঝাজরা বুকে
যে গৌরব নিয়ে আমার জন্ম হয়েছিলো সে গৌরবের সাথে আমাকে দাফন করে দাও।
তারচে বরং মেরেই ফেলো-
গৌরবহীন জীবনের চেয়ে অকালমৃত্যু শ্রেয়।
কবি ও রাষ্ট্র
কবি:
ড্রাইভার নেই শইত্তর আর বুয়া শাইট হাজার!
একটু বলুন সে কতো নেয়, যে করে দেয় বাজার?
রূপের পুরে বিদ্যুৎ আনেন খরচ কতো যায়?
কতো মেগওয়াট হলে পরে মুদ্রা হবে আয়?
কতোটুকু আর ভরলে পরে ভরবে সুইস ভল্ট;
এবার চলুন হিশেব কষি লুটের কোথায় ফল্ট
ক্যামন করে বুঝলো মানুশ আপনি কতো গুড
কীভাবে তার মাথায় বসে কোরছেন হরিলুট।
রাষ্ট্র:
বেশ করেছি, করবো আরও, লুটে করবো শ্যাষ।
এইটা কি তোর বাপের নাকি চাষাভুষোর দ্যাশ?
এই দ্যাশটা আমার বাপের; এই দ্যাশটা আমার;
চুপ করে থাক ছোটোলোক সব; ইতরপ্রাণী চামার।
কবি:
আপনার এখোন বড়ো গলা যেমন চোরের মা।
এই যে শুনুন, বীর বাঙালী, ধরলে ছাড়ে না।
আমরা বুঝি কখন আবার ধরতে হবে অস্ত্র
আমরা জানি মূল অধিকার;পড়তে জানি শাস্ত্র।
একবার যদি রগ টানটান করে সজাগ হই!
তখন আপনি কি কোরবেন? পালিয়ে যাবেন কই?
রাষ্ট্র:
কোথায় গেলো হারে রে রে আমার কুকুর সব!
এই শুয়োরে তুললো আবার বিদ্রোহীদের রব।
তাকে ধরে, দু ঘা মেরে বুঝিয়ে দে রে বাপ।
এই দেশেতে রক্ত থাকা বিরাট বিশাল পাপ।
গরিব যতো কামলা খাটুক মরুক খেটেখুটে।
তোর কি তাতে?তুই সে কে হে?তোর কি আবার টোটে?
ভুলে কেনো যাস এতোটা দ্রুত কোথায় থাকে তোতা!
কাওয়া হয়ে থাকবি শালা; তোতামুখ তোর ভোতা।
চৌদ্দ শিকে ঢুকবি নাকি?খাটবি নাকি জেল?
ডিম থেরাপি দিতেই হবে; তবেই দিবি তেল।
কবি:
ডিম থেরাপি, বাঁশঢলা হোক যেটা খুশি দেন
এই যে দিলাম, কলজে খুলে, নেন চিবিয়ে নেন।
রক্ত আমার জন্মেই ছিলো সারাটাজীবন থাকবে
একটা ফিনিক্স মারলে আবার নতুন ফিনিক্স আসবে।
যুল বিজরাতাইন
প্রেমিকার উরু হতে এবার
হাত গুটিয়ে নাও।
উঠে এসো নীল দেয়ালে ঘেরা
শৈল্পিক বিছানা থেকে।
এতোদিন প্রেমিকার স্তন ছুঁয়েছিলো যে'হাত
এবার সে'হাত মুষ্টিবদ্ধ করে
উঁচিয়ে ধরো আকাশের দিকে।
ছেড়ে এসো,
প্রমিকার ঠোঁট, মখমল বিছানা,রাজকীয় জীবন।
এবার প্রস্তুত হও পেতে মৃত্যুর আলিঙ্গল।
সজ্জা নাও বেদুঈন যোদ্ধার।
এবার তোমায় বেদুঈন কবি হয়ে
উত্তপ্ত গ্রেনেড ছুড়তে হবে
মিথ্যার বুক বরাবর।
কবিরা ঘুমিয়ে থাকে না।
ফিনিক্সের মতো বারবার ফিরে আসে।
খলিফা হারুনের চোখ বরাবর আঙুল তুলে
তুমি বলে দাও,
আজ আমি নিহত হবো।
আমাদের মেরুদণ্ড,
ছিলো
আছে
থাকবে।
মন্তব্য