ঈশ্বর! একটা বাদামখোসার ভিতর বন্দী হয়েও নিজেরে অসীম রাজ্যের অধীশ্বর ভাবতে পারতাম আমি… (হ্যামলেট, ২য় অঙ্ক, ২য় দৃশ্য)
ঘুম ভাঙার পর নিজেরে আবিষ্কার করি ঘিয়ের কৌটায়। কেউ যত্নে আঙুল বাঁকিয়ে তুলে নিচ্ছে মুখে৷ মানুষের ক্ষুধার ভিতর যে ভ্রমণের ঋণ, সেই অতুল ঋণগ্রস্ততার ভিতর একটা উটপাখি বসে আছে।
কেবল দৃশ্য মুছে দৃশ্যই ফের আঁকিতেছে আঙুল। বিড়ালছানা মুছে দিয়ে
মেষপালকের বিশ্বাস ঘাস হয়ে ফিরে যাইতেছে আনতঅবিশ্বাসের ভারে নুয়ে পড়া শাদা মেঘের কাছে৷ কার ডানা হয়ে যাইতেছে কুকুরছানার সতর্ক কান কার আঁকা দৃশ্যে?
ঘিয়ের কৌটা শূন্য হয়ে পড়ে থাকে কেবল এলুমিনিয়ামের হৃৎপিণ্ড। মুঠোবন্দী ঘাসফড়িং আঁকতে গিয়ে আমি বারবার আঁকিতেছি মানুষের আশা৷
সব দৃশ্য মুছে দিতে দিতে কার জঠরে আলোর বিন্দু করিতেছে লীলা
পানির ত্রৈধবিন্দুর লগে। এই মুছে দেয়া দৃশ্যের লগে আমার গোপন প্রণয় উতলিয়া উঠে বলে— যতো গাঢ় অন্ধকার ততো মুক্তির যুক্তি;
যতো গাঢ় কান্না ততো গাঢ় প্রেম; ততোবেশী কথা বলে নীরবতা।
মন্তব্য