তপোবন
লাল চুড়ির হাত, চুড়ির গায়ে চোখের জল
স্বর্নলতার মালা ঝুললো/
বুকপিঠে ঠোঁটের সুগন্ধিগরজে খোদাই....
একদিন ওই তপোবনে নৃত্যরত ঘাসের উপর
আমি প্রথম দেখেছিলাম একক নাচের পর্ব/
ধুম্রজালের কুয়াশায় মাখা শ্বেতসারের মুখটি
কাঁধের কোলে আশ্রয় নেয়
আমরা তপোবনে নৃত্যরত......
বিন্দু bindumag.com
যেখানে সড়কের পর সড়েকে কেবল রাস্তার ধুলোকণারা
তাদের অন্তরে তপোবন আষ্টেপৃষ্ঠে, স্বর্নলতার মালাটিও
এই মালা এখন জপ করে প্রতিরাতে একজন তপস্বী
অশান্ত আত্মার খোঁজে তেপান্তরের শেষ সীমানায়
বিন্দু bindumag.com
চোখের জল কান্নার এক একটি রঙ
তপস্বীর মন আত্মার শরীরে তিনি স্বয়ং
হারানো কুলের ফসিলে রঙিলা পরশ
বিরলকেশে ঘুলেছি মনের কর্কশ
বিন্দু bindumag.com
মানুষের খাঁটি গন্ধ লাগলেই ফসিল নেড়ে উঠে
বিন্দু bindumag.com
২৫/১১/২০১৯
ঘোড়া এবং রাষ্ট্র
বিন্দু bindumag.com
কিন্তু ঘোড়াও নিয়মিত মাস্টারবেশন করে
আর এইভাবে রাষ্ট্র সমৃদ্ধ হইয়া উঠে
বিন্দু bindumag.com
ঘোড়ারা ঘাস খায়, আর রাষ্ট্রে ঘাসের পরিমাণ কমে গেছে।
বিন্দু bindumag.com
ঘোড়াও কিন্তু নাম বদল করতে জানে
বিন্দু bindumag.com
একমাত্র ঘোড়ারাই পথ দেখাতে পারবে, তাই পথ চিনতে চাইলে ঘোড়া হইয়া যান
বিন্দু bindumag.com
যদি আপনি ঘোড়া হইতে পারেন তবেই স্বাধীনতা বুকে নিয়ে হাঁটতে পারবেন
বিন্দু bindumag.com
ঘোড়াদের রেইসে আপনিও আছেন কারন আপনি একজন ঘোড়া
বিন্দু bindumag.com
আপনি হচ্ছেন একজন উৎকৃষ্ট মানের ঘোড়া
আপনাকে রাষ্ট্রের খুব বেশি প্রয়োজন
বিন্দু bindumag.com
২০/১০/২০১৯
স্ব
বিন্দু bindumag.com
তুমিই আমার একমাত্র ঘর
নিরন্তর ভ্রমকাল এখানে এসে ঘোর কাটে
বিমূঢ় চেত খানি শান্ত হয় শীতল তটে
তুমিই আমার একমাত্র ভর
বিন্দু bindumag.com
কীর্তনে নবান্ন নৃত্য ঘরের চারধার
কোলাজে দেয়াল গড়ে বহু নকশায় ঘর
সব কোলাহল আমার কাছে অসাড়
তোমার ছায়ায় মনে হয় আশ্রয়, হোক বেসুর
তুমিই আমার একমাত্র ঘর
তুমিই আমার একমাত্র স্বর
স্বপ্নের কথা বানাতে পারি এই ডাঙাধুলিমাখাতে ঘুমিয়ে
জন্মযন্ত্রনার মায়ের কোল সোঁদামাটিতে শুয়ে
বিন্দু bindumag.com
তুমিই আমার শির উঁচু করা পথছাড়া পথিকের দিশা
অফুরন্ত মমতায় রেখেছে প্রগাঢ় পীড়ারেখা নেশা
ডাঙগুলি তেড়ে এসে প্রতিবার আঘাতে বিদ্ধ করে
সংগোপনে বাড়লো কলস্বর, আমার হৃদ্য ভরে
তুমিই শেষ পর্যন্ত কোটি কোটি বছরের আমার শতাব্দিকাল
বোধের ব্যাপন ক্রুশের চিহ্ন তোমার শরীরে আমার কঙ্কাল
৩/০১/২০২০
গ্যাংস্টার
বিন্দু bindumag.com
কারাগারে প্রসব করে এক একটি লোহার দানা,সেমি
কনক্রিটের রঙ মেখে দানারা নতুন
প্রজন্ম গড়ে তোলে।প্রতি শরৎকালে আকাশ হতে
মার্বেল গড়িয়ে পড়লে কারাগারে উৎসব শুরু হয়।
এইভাবে গোরস্থান আর শশ্মান হতে সবুজ
লাশেরা প্রসব যন্ত্রনায় কাঁদে,হারকিউলিস বাঁশের
লাঠি নিয়ে পৃথিবীর মহাসমুদ্রে ঘুম।
তোমরা এখনো মার্বেল খেলা শিখো নি,বহু বহু জন্ম
অতিক্রম করে আমাদের লোহার দানারা এখন
মার্বেল হয়ে অবিরত লাশের চাষ করছে।
ক্যামেরা বন্ধ,প্রেম আর অপ্রেম পর্দার পেছনে
পালাতে থাকে। একটি লাশ দাঁড়িয়ে সিগারেট
ধরালো।হাতে মার্বেল, হাঁটতে হাঁটতে কারাগার পেরোলো।
হারকিউলিস জেগে দেখলো,নতুন প্রজন্মের গ্যাংস্টার।
আকাশ থেকে মার্বেল গড়িয়ে পড়ছে।
জীবনগোধূলিতারা
বিন্দু bindumag.com
উড়ন্ত হাত এসে ছুঁয়েছে যখনি ফিরে পাবে পেছনের ঘোর শব্দস্রোতের সন্ধ্যারা
গেল শত শত পায়ের ছাপে প্রাণ ফিরে পাবার মতো আমাদের জীবনমধুতারা
আমরা স্পর্শী হই জন্ম থেকেই,অনুভূতির সজাগে বুঝি, শিরার গায়ে খাড়া কেশে
বৌঠান হেসে খেলে আদরে পাঠাল একরাশ মেঘের অন্ধকার ঘেরা বৃক্ষদলের মাঝে
পাহাড়ের লাল মাটির দীর্ঘ লাইন গিয়ে সবুজের ঘর বাড়িয়েছে, তোমাদের সোঁদা
মাটির গন্ধে এখানে জমে উঠেছে কাদাজলের রাস্তা।হারাতে থাকে জীবনগোধূলিতারা
বিন্দু bindumag.com
চেতনার ঘাড়ে তোমার সীমানা ছুঁয়ে মেঘ সৃষ্টি করে তুলেছে যেদিন আমায়
দেখেছে মেঘেদের শ্বেত কণার ঘুম ঘুম চোখ, হেঁটেছে পৃথিবীর পিঠে শিকারি হয়ে
আমার চেতনাই তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ আমাদের একটি দল বয়ে বেড়াই
সবুজ পাণ্ডুলিপি গড়ে তুলে মেঘের স্পর্শে আমাদের সবার মেঘ হতে ইচ্ছে করে
বিন্দু bindumag.com
কিশোরীর খালি পায়ের উপর মেঘেদের খেলায় ট্রপোমণ্ডল জমে যায় হাহাকারে
যেভাবে সমস্ত দিনের অতিবেগুনির স্পর্শে চৌচির হয় অস্ত্রগারের ঘরটি
আমি কখনো সেই ঘরে যাইনি আমাদের দলটিও যায়নি আমরা যেতে চাইনা
আমরা কেবল স্পর্শ করতে চাই মেঘেদের আমরা হারাতে চাই আরেক সীমানায়
যে সীমানায় নেই কোন নকল লাল মাটির ঘর, নেই মৃত জীবনমধুতারা,
নেই অন্ধ কুয়াশার ফাঁকি মেঘের ছাদ, নেই সন্ধ্যামাখা চাঁদের অভিনয়
বিন্দু bindumag.com
একটি ছাদ গড়ে তুলি, বিশাল ছাদ।ঢেকে রাখি তোমাকে আমাকে আমাদেরকে
ছাদের দেয়াল জুড়ে একটি মানচিত্র লাল হলুদ নীল সবুজমাখা জীবনগোধূলিতারা
মৃত্যুবোধ
বিন্দু bindumag.com
সেই মধ্যরাতে আমার বালক বোধের ক্রিয়াতে সমস্ত জটে জটে পাকিয়ে আমাকে যন্ত্রণায় মিলিত করেছিল যখন দেখি বাড়ির বারান্দায় শুয়ে থাকা অসাড় দেহটিকে সবাই ঘিরে বিলাপরত।প্রচণ্ড শীতেও আমার শরীরে ঘামের ভেজা গায়ের কাপড়, জেঠূর অচেতন ভঙ্গিমা মূর্তিময় চেহারা দেখে ভয়ে নিস্পন্দ। চারপাশে গিলে নিচ্ছিল শশ্মানগীতের কীর্তন, মহিলাদের বিলাপকণ্ঠে গাছের সব পাখিরা ভোররাতের আগেই ডাকা শুরু করছিল।এরপর থেকে আমি আর কখনো জেঠুকে আর দেখিনি আমাদের বাড়িতে আর কোন শব্দ পাইনি ঘ্রাণ পাইনি বাছুরটির গায়েও শুঁকেছিলাম। দিদি আমায় জড়িয়ে ধরেছিল কান্নায়। এই প্রথম চেতনায় নাড়া দিল মৃত্যুর বাস্তবিকতা।
বিন্দু bindumag.com৬/১২/২০১৯
মন্তব্য