এটাই কি সে-ই অলকানন্দা নদী?
অচেনা বীথিকা, অতল-নিবাস?
চাতুরীবিহীন হাসি-খুশি নিয়ে
ফুটছে বকুল? ভাসছে হৃদয়?
এতো এতোসব অর্ঘ্যমাল্যফুল
চারিদিক হতে চাইতেছো তুমি, আহা কর্তা
বিশ্ববিধাত্রী, এ-ই কি তোমার আত্মকেন্দ্র নয়!
অথবা ত্রিশূল, বাক-বিভূঁতির বেদ
অদৃশ্যের কোনো ঘোড়া, রাত বাড়তেই
মগজে ধরায় আগুন; ধুলাবালি উড়ে
আস্তর জমে বুকে, সে-কি আড়ালের কোনো ঘোর?
কাল্পনিক মেঘ নাকি? জিকির-জবান কোনো?
সে-কি দৌরাত্ম্যের চেয়ে ধীরে, আরো ধীর হেঁটে
বেঁচে থাকাটাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধে?
যেখানে
পাল্লায় বসে
মাপছে নিজেকে মানুষ
মানুষের পাল্লায় পড়ে, কাঁদতেছে ক্রীতদাস!
যেখানে
পানিতে ছুঁড়ে, নবজাতকটিকে
শুদ্ধ হতে দেখতেছে জননী, ডুবে যেতে দিচ্ছে এবর্শন!
এমন করে হতাশা তোমাকে ডাকে? অন্তঃসার?
যে'দিকটাতে চলে গেছে একা, মিথের কচ্ছপ হেঁটে;
সে-ই কিনা পোহাবে চিবুক রোদে?
আজ, একবার কোনো প্রেমের গল্প হবে?
একবার শুধু মৃত্যুকে ল্যাং মেরে, পিতার ক্রোধেরা
গর্জে উঠুক আবার!
ঐ যে খোঁয়াড়
ঐ যে ক্রমশ সাদা রঙ এসে
পায়রাগুলিকে ছিটিয়ে দিচ্ছে খুদ!
বাতাস বইছে জোরে, মধ্য প্রহর একা
দানবের রাগ নিয়ে, ডাকছে ফুঁপিয়ে কারে?
ঘরে ফেরেনি বাবা! নির্ঘুম আম্মাকে, পাহারা দিচ্ছে ছেলে!
তুমি ভালো জানো
সন্ন্যাসী নই আমি, তুমি এ'ও জানো
বুকের ভিতর বসে একটা কিশোর, ব্যাগ্র হয়ে ডাকছে তাহার মা'কে!
কতোখানি দূরে চলে গেছি আমি
হেমন্তে, আত্মহনন পেতে, ক্ষমাহীনতার কাঁটা
কতোখানি দূর, ধাওয়া করেছে জানো?
জানো না মাবুদ?
আর, ববিতা, জানো নাকি তুমি?
বাংলা ভাষার একটা অক্ষরকে চোখের সামনে পেলে
কেনো বলো রাতে অনিদ্রাকে, বাল্যবন্ধু ডাকি, সহোদর ডাকি?
এতোসব হর্ন-কলরব-ধূলি পারি দিয়ে এসে
হাইফেন হয়ে, টানটান হয়ে, আমাদের মাঝে শুয়ে পড়েছেন মা!
মন্তব্য