১.
আদিম ঈর্ষার ভিতর ডুবে যাচ্ছে আগুন। যে আগুন চোখে লাগে না, তাকে পোড়াও তুমি। নাভির স্পর্শে, এত প্রণয়ীর টান বুঝি মাংসল মেঘের মতো ওড়ে। তুমি তাকে বলোনি জলের কথা তবুও কলস বাঁচিয়ে রেখেছো? পবিত্র মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ বিষ।আজকাল সতর্কতা বুঝি, বুঝি আনুষ্ঠানিকভাবে পোশাক খোলার কথা। এসব ভাবতে ভাবতে বাড়তে থাকে আমার নখ। হয়তো তোমাকে বাঁচাবো বলে কাটতে পারিনি আজও।
২.
আলো দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি আমি। একটা রঙ বদলে যাওয়া চাকার অপ্রাকৃত শোভা ও স্রোতের ভিতর মুদ্রার নাচ নিয়ে ঢুকে গেল প্রবল নিষিদ্ধ বোধ। অথচ কুৎসিত কাচ তোমার পায়ে গেঁথে যাওয়ার পর এক পৃথিবীর অ্যাপ্রন তাকিয়ে ছিল শুশ্রুষার দিকে...নদীর গর্ভে তখন একপাল বিকলাঙ্গ রাজহাঁস তোমাকে দেখতে দেখতে ভেবেছিল যন্ত্রণা আর ফিরে আসবে না কোনোদিন।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৩.
কতকিছু খরচ হয়ে গেল! এখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি বিষদাঁতগুলোর কথা। এমন সময় একটা মাছরাঙা শব্দ ভেঙে তুলছে মাছের কাঁটা। আর কৃতজ্ঞতায় চোখের জল মুছে গোল হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৪.
নগরের শরীরে তোমার তন্ময়। এতদূর পথ হেঁটে এসে যখন অঘ্রাণ টের পাই আমি দেখি বেশকিছু নবজাতক মরে গেছে! আর কোনো নিক্কণ শব্দে পাশ ফিরে শুতে শুতে জন্ম দিই অসীমের সংকেতের। এতদূর ঠিক ছিল তবে। ঠিক ছিল আজীবন ভালোবাসা! তবু কেন প্রস্তরীভূত হয় সময়? মৃত ফুলের সমান্তরাল বেঁচে যাওয়া দেখে মুঠো খুলে তুমি বিলিয়ে দাও রাতের ভাত! সন্তরণ নিয়মে তুমি হলুদ হয়ে যাও...যখন দেখি কাঁটা নিয়ে উঠে আসে একদল রাক্ষস! আর গাছের গুঁড়ির মতো ভেসে যাওয়ার কথায় তোমাকে দিয়েছি আমার সমস্ত আসবাব। চোখ বুজে দেখো অপর্যাপ্ত কম্পাস তোমাকে হাসতে দেখে ভিড়ে যাচ্ছে মৃত নদীখাতের গর্ভে।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৫.
নখ বেড়ে গেলে আলোক শিখাকে হরিণী বলে ডাকি। আমার সাধনার ভিতর যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে অভাব,তার কুয়াশায় আমি দেখেছি রামপ্রসাদের একক তৃষ্ণা! করস্পর্শ তবু বুঝতে পারি, বুঝতে পারি আমার ভিতরে এক রাতের নড়াচড়া । আমি হেঁটে যাই! প্রবালের মতো চোখ আর উজ্জ্বল তিলের ভিতরে,ভাবি আমার দেওয়ার মতো রয়েছে কিছু! যেখানে রূপসী খুলির ভিতর আমার সমস্ত যোগ তোমাকে দিয়ে যাবো। তবুও তুমি বলো নিজেকে চিনে বাঁচিয়ে রাখার কথা। যেসব অদ্ভুত ঘ্রাণ পেয়েছি আমি সেখানে প্রাণ চিঁড়ে গেলে দেখবো জীবন। তবু কিছু হলুদ আমার শিরায় থাক। বন্যাকালীন জখমে সারিয়ে তুলবো তোমায়... তবু কিছু মুক্তি থাক, যেখানে জলবায়ু ভেঙে গেলে আমি মূর্তির মতো দেখবো তোমায়।
আদিম ঈর্ষার ভিতর ডুবে যাচ্ছে আগুন। যে আগুন চোখে লাগে না, তাকে পোড়াও তুমি। নাভির স্পর্শে, এত প্রণয়ীর টান বুঝি মাংসল মেঘের মতো ওড়ে। তুমি তাকে বলোনি জলের কথা তবুও কলস বাঁচিয়ে রেখেছো? পবিত্র মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ বিষ।আজকাল সতর্কতা বুঝি, বুঝি আনুষ্ঠানিকভাবে পোশাক খোলার কথা। এসব ভাবতে ভাবতে বাড়তে থাকে আমার নখ। হয়তো তোমাকে বাঁচাবো বলে কাটতে পারিনি আজও।
২.
আলো দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি আমি। একটা রঙ বদলে যাওয়া চাকার অপ্রাকৃত শোভা ও স্রোতের ভিতর মুদ্রার নাচ নিয়ে ঢুকে গেল প্রবল নিষিদ্ধ বোধ। অথচ কুৎসিত কাচ তোমার পায়ে গেঁথে যাওয়ার পর এক পৃথিবীর অ্যাপ্রন তাকিয়ে ছিল শুশ্রুষার দিকে...নদীর গর্ভে তখন একপাল বিকলাঙ্গ রাজহাঁস তোমাকে দেখতে দেখতে ভেবেছিল যন্ত্রণা আর ফিরে আসবে না কোনোদিন।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৩.
কতকিছু খরচ হয়ে গেল! এখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি বিষদাঁতগুলোর কথা। এমন সময় একটা মাছরাঙা শব্দ ভেঙে তুলছে মাছের কাঁটা। আর কৃতজ্ঞতায় চোখের জল মুছে গোল হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৪.
নগরের শরীরে তোমার তন্ময়। এতদূর পথ হেঁটে এসে যখন অঘ্রাণ টের পাই আমি দেখি বেশকিছু নবজাতক মরে গেছে! আর কোনো নিক্কণ শব্দে পাশ ফিরে শুতে শুতে জন্ম দিই অসীমের সংকেতের। এতদূর ঠিক ছিল তবে। ঠিক ছিল আজীবন ভালোবাসা! তবু কেন প্রস্তরীভূত হয় সময়? মৃত ফুলের সমান্তরাল বেঁচে যাওয়া দেখে মুঠো খুলে তুমি বিলিয়ে দাও রাতের ভাত! সন্তরণ নিয়মে তুমি হলুদ হয়ে যাও...যখন দেখি কাঁটা নিয়ে উঠে আসে একদল রাক্ষস! আর গাছের গুঁড়ির মতো ভেসে যাওয়ার কথায় তোমাকে দিয়েছি আমার সমস্ত আসবাব। চোখ বুজে দেখো অপর্যাপ্ত কম্পাস তোমাকে হাসতে দেখে ভিড়ে যাচ্ছে মৃত নদীখাতের গর্ভে।
বিন্দু প্রকাশিত bindumag.com
৫.
নখ বেড়ে গেলে আলোক শিখাকে হরিণী বলে ডাকি। আমার সাধনার ভিতর যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে অভাব,তার কুয়াশায় আমি দেখেছি রামপ্রসাদের একক তৃষ্ণা! করস্পর্শ তবু বুঝতে পারি, বুঝতে পারি আমার ভিতরে এক রাতের নড়াচড়া । আমি হেঁটে যাই! প্রবালের মতো চোখ আর উজ্জ্বল তিলের ভিতরে,ভাবি আমার দেওয়ার মতো রয়েছে কিছু! যেখানে রূপসী খুলির ভিতর আমার সমস্ত যোগ তোমাকে দিয়ে যাবো। তবুও তুমি বলো নিজেকে চিনে বাঁচিয়ে রাখার কথা। যেসব অদ্ভুত ঘ্রাণ পেয়েছি আমি সেখানে প্রাণ চিঁড়ে গেলে দেখবো জীবন। তবু কিছু হলুদ আমার শিরায় থাক। বন্যাকালীন জখমে সারিয়ে তুলবো তোমায়... তবু কিছু মুক্তি থাক, যেখানে জলবায়ু ভেঙে গেলে আমি মূর্তির মতো দেখবো তোমায়।
তোমার মতোই,লিখতেথাকো।
উত্তরমুছুননিজের মতো লেখা খুব জটিল কাজ।সহজও।
"নিজের মতো লেখা"
ভরসা পেলাম। ধন্যবাদ 🙂
মুছুন