ভঙ্গুরতম গন্ধের পয়গাম
চোখ, কুচিকুচি করে কাটা
তোমারে দেখতে পারছে না
অথচ তুমি রক্তের বিষে মিশে গেছ
চাইতেছি গরম তেলে যদি যায় ভাজা আরকি
শরতের শেষে বৃষ্টি তো হয় না তেমন
তবু হইতেছে এই বেহুদা শহরে
এই বৃষ্টির আমেজে শীতের বিষাদ চলে আসে
অথচ কথা ছিল হেমন্তের হাত ধরে আসবে তুমি
এই বুকের বারান্দায় তাই তো অত কোলাহল
অত ধুমধাম লেগে ছিল
আর শীতের বিষাদ নেমে এলে
বন্ধু, আমি অন্যমনস্ক বিস্বাদ খেয়ে ফেলি
আর তন্ন তন্ন করে খুঁজি পথ ও বিপথ
পকেটে খুচরা টাকা আছে কিনা চেক করে
বহুগামী আকাশের সাথে কথা বলি
আকাশ বলে, তার বিক্রি হয়ে যাওয়া ইতিহাস
কীভাবে মেঘের নোলক কান্না কাঁদে সারারাত
কীভাবে ভাড়া খাটে যুবতী রাত
শুধু যোগাসনে বসে থাকা
অন্ধকার আনন্দের আলো
আলো?
এও কি সম্ভব?
বুকেরই বারান্দায় অত কোলাহল অত ধুমধাম লেগে ছিল
হেমন্তের সোনা রঙ নিয়ে তোমার আসার কথা ছিল
তাই তো শুধুই যোগাসনে বসে থাকা
চোখ, কুচিকুচি করে কাটা
বিভ্রান্ত সব মানুষের ভিড়ে; টিকে থাকা এক স্বপ্নের প্রত্যয়
বিকারের থেকে দূরে যাবো আরো দূরে
যেখানে মানুষ খায় না মানুষের মাংস
যেখানে ধর্মের প্রভু দেয় না ছোবল
বিকারের থেকে দূরে
যেখানে যুবকের মসজিদ সেজদায় উজ্জ্বল যুবতীর মন্দিরে
আরে এও কি সম্ভব?
মানুষের সাথে কথা বলি
দেখি যে, অন্য মানুষ
নিজের সাথেই কথা বলি
দেখি, অন্য এক ছায়া
অসঙ্গত
অসম্ভবের এক সম্ভাব্য প্রত্যয়
চাইতেছি সেই ভঙ্গুরতম গন্ধের পয়গাম
সেই নিরলস স্বাদ
শোনো কবি, আচ্ছন্ন মদ আর ভেজিটেবলে
আমাদের জুবুথুবু রাত
আমাদের রক্ত শুষে নেয় অন্ধকার
মন্তব্য