image source: bmr.unm.edu |
লিখেছেন: সাঈদ বিলাস
লোকটা দেখতে বেশ চিকন, নাকটা সরু কিন্তু অদ্ভুত- লম্বা; দু’পাশে সমানভাবে নেমে গেছে, মুখের রেখাগুলো কিছুটা রক্তিম ভাব ধারণ করেছে। কোমড়ে একটা গামছা প্যাচাইয়া নিচের সাদা ধূতিসদৃশ লুঙ্গিটা পড়ন থেকে খুলে পড়া রক্ষা করছে বোঝা যায়। এটাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কয়েক পাইট বাংলা মদ, স্থানীয় ভাষায় যাকে চোয়ানি বলে, টেনে এসেছে, চোখ দু’টো কোটরের ভেতর ঢুকে সাংঘাতিক মাত্রায় লাল হয়ে আছে। তাতে চোখ দু’টোয় একটা আলাদা ঘোর লাগা চাহনি তৈরি হয়েছে, তবে তার খানদানি গোঁফটা সটান সগৌরবে তার অস্তিত্ব ঠিকই জানান দিয়ে যাচ্ছে। তার মুখের চারপাশে কিছু মাছি অনবরত ভনভন শব্দ করেই যাচ্ছে, সেদিকে অবশ্য বাবু লালের নজর নেই। পৈতা পড়া হাত দু’টা নাড়িয়ে অনবরত কথা বলতে বলতে, টলতে টলতে এখন সে শ্মশানের দিকে যাচ্ছে, তার আরো কয়েক মাতাল সঙ্গীদের সাথে জুয়া খেলতে; সারা দুপুর, এমনকি সন্ধ্যাও গড়াতে পারে, এই পুরো সময়টা বাবু লাল জুয়া খেলবে। এটা তার প্রত্যেক দিনকার নিয়মিত কাজ। শ্মশানের মরা পোড়া দুই একদিন বন্ধ থাকতে পারে,কিন্তু বাবু লালের জুয়া খেলা বন্ধ থাকে না! ঝা ঝা এই রোদে থেকে থেকে মনে হয় আগুনের হলকা ছড়াচ্ছে, গাছের একটি পাতাও নড়ছে না, মনে হচ্ছে একটা পরাবাস্তব সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সব কিছু। অবশ্য বাবু লালের খুব সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না, কিছুক্ষণ পরপর সে শুধুই একটা বাক্যই বলে যাচ্ছে, “তোর মায়রে চুদি! হামরা নাম বাবু লাল হ্যায়।”
বিন্দু bindumag.com
শ্মশানের অদূরেই, কতদূর আর হবে? পনের-বিশ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ,বাবু লালের ঘর; ঘর না বলে অবশ্য মুরগীর খোপ বলা চলে, ত্রিশ থেকে চল্লিশটা খোঁয়াড়ে বাবু লালের পরিবারের মতোই আরো ত্রিশ-চল্লিশটা পরিবার থাকে। এলাকায় যেটা মেথর পট্টি নামে পরিচিত,অবশ্য সবাই মেথর না, কিছু মুচি পরিবারও থাকে। বাজারের পাশেই সবচেয়ে জীর্ণ যে জায়গাটা-আবর্জনার স্তুপ যেখানে ফেলা হয়, তারই পাশে, গাদাগাদি করে উঠানো ঘরগুলোয়, হয়তোবা কোনো এক অজানা আদি ঐতিহাসিক পাপের শাস্তিস্বরূপ তারা বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছে। প্রতিটি উঠান এক একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক গল্প বা জীবনের উত্থান-পতনের গল্প বলে যায়। নিত্য দিনের ক্যাওয়াজ কিংবা খিস্তি খেউড়ে শুরু হয় এখানকার জীবন। সকালে উঠে হয়তো কোনো পুরুষ কোন কথা ছাড়া শেমড়ের মতো পিটায় তার বউকে, কিংবা কোন নারী হয়তো ঝাড়ু নিয়ে সপাং সপাং করে গায়ের সব জোর দিয়ে পিটুনি দেয় তার একান্ত পুরুষটিকে। কোনো কোনো দিন দেখা যায়, একজনের শূয়োর আরেকজনের খোঁয়াড়ে বেঁধে রাখার কারণে পুরো পাড়া জুড়ে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে গেছে; দাঁ-বটি-লাঠি যে যা পারে তাই নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছে বন্য উন্মত্তায়। তবুও জীবন এখানে প্রতিদিনের সূর্যের মতো সত্য, সত্য ভালোবাসা-রাগ-ঘৃণা-বিদ্বেষ কিংবা প্রতিবাদ! এইতো গেলবার, চেয়ারম্যানের ছেলে পট্টির এক মেয়ের গায়ে হাত দেওয়ায় কী রণহুঙ্কারে একযোগে তেড়ে গেল সবাই, যেন অপমানের হাত ছুঁয়েছে সবার গা। যদিও মিথ্যে মামলায় জেল খাটতে হয়েছিল কয়েকজনকে।
বিন্দু bindumag.com
এই পট্টিতেই জন্মেছিল বাবু লাল, কোনো এক সোমবারে, মায়ের সোমত্ত শরীরের সমস্ত কষ্ট লাঘব করে আতুর ঘরে। তার বাবা তখন গুয়ের নহরে সমস্ত শরীর ডুবিয়ে কর্তাবাবুর মন্দিরের মতন বাড়িটাকে পূত পবিত্র করছিল। আচ্ছা, কর্তাবাবুর ছেলে আর বাবু লালের ছেলে, জন্মের পর কি দুজনই একই আলো গায়ে মেখেছিল? তাদের প্রথম চিৎকারে কি কোনো তফাত ছিল?
বিন্দু bindumag.com
বাপটা তার বড় আমুদে লোক ছিল গো! - বাবু লাল মায়ের কাছ থেকে কত শুনেছে একথা! বাপের স্মৃতি তার খুব একটা মনে পড়ে না, শুধু মনে পড়ে একদিন সকালে তার বাপ মদন লাল একটা লাকড়ির চিড় দিয়ে তার মায়রে শূয়োরের পালের মতো পেটাচ্ছিল, মা তার বড় শক্ত মহিলা, কোনো উচ্চ বাচ্য নাই; শুধু গোঙানির আওয়াজ পেয়ে বাবু লাল কাছে যেতেই, রুকমনি বাবু লালকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে দিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর তার বাবাও দুজনকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কান্না জুড়ে দিয়েছিল। বাবু লাল নির্বাক হয়ে ফ্যাকাসে চোখে তাকিয়ে ছিল শুধু। তখন কত বয়স হবে বাবু লালের? বড়জোড় দশ কি বার! তার তখন স্কুলে যাওয়ার বয়স, খেলার বয়স। ওইদিন ওই সকালে মদন লাল ছেলেকে নিয়ে বের হয়, বাবু লালও বাবার সাথে যায় আনন্দে, আহা শৈশবের আনন্দ!
বিন্দু bindumag.com
কিছু দূর যাওয়ার পর তারা রহমত সাহেব নামক একজনের বাড়িতে থামে। কী সুন্দর বাড়ি! চারিদিকে সাজানো গোছানো ছিমছাম পরিপাটি, বাইরে একটা বড় পুকুর, সাথে পুকুরঘাট; বাড়ির সাথেই লাগোয়া ফুলের বাগান। পাশেই গরুর খোঁয়াড়, একটা লোক গরুগুলোকে কী যত্ন করে খাওয়াচ্ছে! বাবু লালের এই ছোট্ট জীবনে এতো সুন্দর বাড়ি সে কখনো দেখে নি। বাড়ির সামনে পুকুর ঘাটে বাবু লালের বয়সী তিন চার জন ছেলে-মেয়ে ছু টুক টুক খেলছে। বাবু লাল দৌড় দিয়ে ওদের কাছে যেতেই ওরা দূরে সরে যায়, এক ষণ্ডামার্কা মহিলা লাকড়ি হাতে তেড়ে আসে, “যা, সর হতভাগা। দূরে গিয়ে মর। ছুঁবি না।” বাবু লালের শিশু মনও মহিলার ঘৃণাটা টের পায়। এই রকম আরো কিছু অভিজ্ঞতায় একদিন বাবু লাল ঠিকই বুঝতে পারে-সে কাউকে ছুঁতে পারবে না, মিশতে পারবে না কারও সাথে, নিজের জাতের মানুষ ছাড়া। মদন লাল বাবু লালের হাত হ্যাঁচকা টান দিয়ে সরিয়ে এনে বলে, “হারামির বাচ্চা, উধার গ্যায়া কিউ?” বাবু লাল চুপ করে থাকে।
বিন্দু bindumag.com
কিছুক্ষণ পরে রহমত সাহেব আসলে মদন লাল তাকে গড় হয়ে প্রণাম করে। রহমত সাহেবের পিছনে পিছনে তারা বাপ-বেটা একসাথে হাঁটতে থাকে, কারও মুখে কোনো কথা নেই। বাড়ির পিছনে গিয়ে তারা দুইজন বসে পড়ে, রহমত সাহেবের কাজের লোক কলা পাতায় করে তাদের জন্য দুয়েক পোড়া রুটি আর ডাল নিয়ে আসে। পায়খানার স্লিপারের ওপর বসে তাই বেশ আমোদে চেটে পুটে খায় বাপ বেটা। খাওয়া শেষ হলে রহমত সাহেব আসেন, বলেন, “নে মদন লাল, এই বার কাজ শুরু কর। ভালোমতো পরিষ্কার করবি কিন্তু। ওইটা কে রে? তোর ছেলে নাকি? ওটাকেও কাজে লাগাবি, তোরা পারিসও বটে, এত পাষাণ হইস ক্যামনে? এই ছোট বাচ্চাটাকে দিয়ে গু পরিস্কার করাবি?” যেন দরদ উথলে উঠছে! মদন লাল জবাব দেয়, “হামি কী করবে বাবুয়া, উকি কাজ না শিকালে ঊ কী করবে লেক ইন। হামার কপাল ইটা, হামার বাপ ভি করছে, হামি করবে, ঊ ভি করবে।” বাবু লালের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন রহমত সাহেব, “কিরে, তোর নাম কী?” উত্তর দেয় বাবু লাল, “হামরা নাম বাবু লাল হ্যায়, বাবুয়া।” মদন লাল তাড়া দেয়, “হামি কাজ আরম্ভ করবে বাবুয়া।” রহমত সাহেব সরে যান দ্রুত, বস্তুত আশেপাশে কেউই থাকে না, কয়েকটা নেড়ি কুত্তা আর ওরা দুজন বাপ-বেটা ছাড়া।
বিন্দু bindumag.com
মদন লাল একটা চোয়ানির বোতল বের করে পুরোটা ঢকঢক করে গিলে ফেলে, তারপর পায়খানার স্লিপারটা খুলে ফেলে বালতি নিয়ে নেমে পড়ে গুয়ের নহরে। কোনো রকম নাকটা ভাসিয়ে বালতিতে করে গু তুলে বাবু লালের হাতে দেয়, বাবু লালের শরীর গুলিয়ে বমি আসে। সে দূরে সরে গিয়ে বমি করতে শুরু করে। বালতি না পেয়ে মদন লাল উঠে আসে, গু মাখা হাতেই বাবু লালের গালে কষে এক থাপ্পড় দেয় আর বলতে থাকে, “তোর মায়রে চুদি। মাতারির বাচ্চা, গু দেখে বমি করেগা তো কাম ক্যাসে কারেগা। গু-ই হামরা পয়সা হ্যায়।” মদন লাল করে কী, বাবু লালকে জোর করে কয়েক পাইট চোয়ানি গেলায়; চোয়ানি বাবু লালের শরীরে এক আশ্চর্য শিহরণ জাগায়; এরপর থেকে বাবু লালের আর কখনো গু নিয়া নাড়াচাড়া করতে বমি আসে নি আজ পর্যন্ত।
বিন্দু bindumag.com
বাপটা মরে গেল হুট করেই! একদিন রাতে ভরপুর চোয়ানি গিলেছিল মদন লাল; শেষ রাতে রক্তবমি শুরু হল, ডাক্তারকে ডাকতে গেলে সে কোনো মেথরের চিকিৎসা করাতে মেথরপট্টিতে যেতে অস্বীকৃতি জানাল, পরদিন চেম্বারে আসতে বললো। বমি করতে করতেই মরে গেল মদন লাল। এই সমস্ত সংসারে বাবু লাল পড়ে গেল এক চক্রব্যূহের ভেতর; মা গোবর দিয়ে লাকড়ি বানিয়ে যা আনে আর গোটা দুয়েক শূয়োর পালন করে কোনো রকমে ওদের দিন যায়। মা ওকে স্কুলে পাঠায়; মেথরের বাচ্চা বলে স্কুলে কেউ তার সঙ্গে মেশে না, স্কুলে ওর জায়গা হয় একদম পেছনের বেঞ্চে, একা! দুইটা ছেলে অবশ্য তার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু বাবু লাল দূরে সরে যায়।
বিন্দু bindumag.com
বছর তিনেক বাদে একদিন দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে বাবু লাল দেখে তাদের ঘরের দরজা বন্ধ, ভেতর থেকে একটা বোটকা গন্ধ আসছে, খাট নড়ার শব্দ স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে। বাবু লাল দূরে গিয়ে এক কোনায় বসে থাকে। আধা ঘণ্টা পরে দেখে তার মা এলাকার এক পাতি নেতা ও উঠতি মাস্তানের সাথে হাসতে হাসতে ঘর থেকে বের হচ্ছে, লুটোপুটি খেতে খেতে গড়াগড়ি করছে দুজন, মাস্তানটি তার মায়ের বুকে ব্লাউজের ভাঁজে কিছু টাকা গুজে দেয়। ওই ঘটনার পর থেকে বাবু লাল আর কোনো দিন দুপুর বেলা বাড়ি আসে নাই, মায়ের কাছে কখনো কিছু চায় নি। বাবু লাল স্কুল ছেড়ে দিয়ে তার পৈতৃক পেশায় চলে যায়, বস্তুত ওই পট্টির তার সমবয়সী আরো অনেকেই গু এর সাথে জীবন শুরু করে দেয়।
বিন্দু bindumag.com
সকালে ক্ষুধা লাগলে বাবু লাল চলে যায় বাজারে পরোটা আর চা খেতে, কিন্তু তার বা তাদের জায়গা হয় না দোকানের ভেতর; সে দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে, টাকা দেয়, কয়েক মিনিট পরে দোকানের কর্মচারী গোটা দুয়েক পরোটা ছুড়ে দেয় তার দিকে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে। এমনকি চায়ের জন্য দোকানের যে কাপ থাকে, সেটাতেও চা দেয়া হয় না তাকে, চা খাওয়ার জন্য তাকে নিজের একটা আলাদা গ্লাস নিতে হয়। চা দেয়ার সময় কর্মচারীরাও ওর থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। বাবু লাল শুধু স্বগোক্তির মতন একটা বাক্যই বলে যায়, “তোর মায়রে চুদি! হামরা নাম বাবু লাল হ্যায়।”
বিন্দু bindumag.com
বাবুলাল একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে-রুকমনি নেই। কেউ বলতে পারে না, কোথায় গিয়েছে? অবশ্য বাবু লাল খুব একটা খোঁজার চেষ্টাও করে না, শুধু ঘরে শুয়ে বালিশে মুখ গুজে কিছুক্ষণ খুব করে কাঁদে সে, সারাদিন ঘর থেকে বের হয় না। মাকে খুবই ভালবাসতো সে, মা ছাড়া আর কেই বা আছে সংসারে তার! বাবু লাল সন্ধ্যা বেলায় বসে যায় চোয়ানি গিলতে।
বিন্দু bindumag.com
শোনা যায়, রুকমনি নাকি এখন শহরের কোন এক পাড়ায় আছে। বাবু লাল গিয়েছিল একদিন মাকে খুঁজতে, কিন্তু পায় নি। বেশি কৌতূহল দেখাবার কারণে পাড়ার পাহারাদার ষণ্ডাগুলো মেরে রক্তাক্ত করে বিদায় করে দেয় তাকে। আর কখনো ও মুখো হয় নি সে। একা নিঃসঙ্গ বাবু লাল এখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই কিংবা অধিকাংশ রাত চোয়ানি গিলে শ্মশানেই কাটিয়ে দেয়। বাবু লালের সঙ্গী এখন শুধু গু, জুয়া আর চোয়ানি!
বিন্দু bindumag.com
চোয়ানি, গু আর জুয়া কিংবা গু, চোয়ানি ও জুয়া করতে করতে মেঘে মেঘে অনেক বেলা গড়ায়। এরই মাঝে শ্মশানে অনেক অশীতিপর বুড়োরা ছাই হয়ে স্বর্গ বা নরকে চলে যায়! বটগাছটা আরো কিছু শিকড় ছড়ায়। বাবু লালও শিকড় গেড়ে ফেলে ফুলমনির সাথে। এই মস্ত সংসারে বাবু লালেরও কেউ একজন থাকে; যে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকে, অভিমান করে, রাগ করে, ভালোও বাসে! বাবু লালেরও এখন বাসায় যাওয়ার তাড়া থাকে! একদিন যে পথে তার বাবা, তার বাবার বাবা কিংবা তার বাবার বাবার বাবা যে জীবনের গোড়াপত্তন করেছিল সেই পথেই হেঁটে যায় বাবু লাল তার জন্মের সাক্ষ্য নিয়ে। জগতে তার পদচিহ্ন এঁকে, বিরান এই বিশ্ব সংসারে একটিই বিশ্বাসকে সামনে রেখে যে- তারও কোনো এক অজানা ভবিষ্যৎ বংশ পরম্পরা তার পদচিহ্ন বয়ে নিয়ে যাবে অগণিত অনিশ্চিত জীবনের মহামিলনমেলার এই জগতে; যেখানে কেউ জানে না, সে আসলে কে? কিংবা বাবু লালের মতোই স্বগোক্তি “তোর মায়রে চুদি! হামরা নাম বাবু লাল হ্যায়” করতে করতেই তার যাত্রার অংশটুকু পার হয়ে মানুষের মাহাযাত্রাকেই হয়তোবা একটু এগিয়ে দেয়।
বিন্দু bindumag.com
মন্তব্য