প্রেম এবং জলকেলি
তারপর একদিন আয়োজন করে বর্ষা এসে গেল,
বিশাখার ছত্রছায়ায় গজিয়ে গেল ঝুম ধারার গল্প,
মন খারাপের সন্তুষ্টি ছুঁয়ে গেল হৃদয় আঙ্গিনায়,
কদম ভাসছে, হিজল চুপটি মেরে গল্প শুনছে,
আমাদের নিখাদ প্রেমের,
গল্পের পাতায় পাতায় প্রেম রেখে ভিজে উঠল শ্মশানের আঙ্গিনা,
ঠুপ ঠুপ জলকেলির শব্দে মাতাল হল শ্মশানদেবতা,
প্রেমসাধনায় মগ্নরত সে অমরাবতীর অমর দেবতা।
ভিজে চলে অষ্টাদশী সে সকল ব্যক্তিগত বর্ষায়,
একটা পূর্ণকুঠির আর তার দুচালায়,
লজ্জাবতী হও সে তুমি পেখম ছড়িয়ে,
আমি শব্দ বিন্যাসের দ্বিধায় ভুগতে যাই,
বিশাখার নামে সে সকল কবিতা শ্লোক হয়,
কবিতার নাম ধরে প্রেম হয়,ইতিহাস হয়,
শ্লোগান হয় মিছিলে মিছিলে প্রেম ছড়ায়,
প্রেমিক সে বিপ্লবী,
জঙ্ঘায় আর মজ্জায়।
অর্ধনগ্ন পায়ের পাতায় মেলে ধর যে প্রতিচ্ছবি,
বৃষ্টি তবু পবিত্র হয়,তোমায় ছুঁয়ে;
রিক্ততার ধারায় প্রতিটি সিক্ততায়,
ঝুম থেকে নিঝুমের পত্র শাখায়,
চৌচির সে ধরিত্রীয় তৃষ্ণা মিটিয়ে,
আমি ক্রমশ প্রেমিক হয়ে উঠছি বিশাখায়,
বিশাখার প্রতিটি শাখায়,
কানায় কানায় ভরে উঠা প্রেমের কবিতায়,
নিখাদ এবং নিষ্কলঙ্ক অতঃপর পলিমাটির উর্বরতায়।
চমৎকার
উত্তরমুছুন