বৃষ্টি এবং রিকশা বন্দনা
এই শহরে বৃষ্টি হলে পাখিরা ভেজে না
ভিজে যায় আমার সমূহ স্বপ্ন
নোটিশ ছাড়াই, আদরের প্রেম বিমোহিত
আলিঙ্গন থেকে পালিয়ে যেতে চায়
সময় জানে না পৃথিবীর কোনও ঘড়ি।
ভেজা পাখির পালক তুলিতে
কবিতার খাতা তখন ব্যস্ত রিকশা বন্দনায়!
আচানক বৃষ্টি, সম্ভবনা ছিল না, আবহাওয়া বার্তাতেও নাই, মস্তিষ্কের কোনও এক অংশে ছিল বৃষ্টিবার্তা
অজ্ঞাত কারণে বৃষ্টি এসেছিল
নিকটবর্তী নারীর চোখ দু’টো এতোদূরে ছিল
ভিজে গেছি কি না দেখতে পাচ্ছি না
বৃষ্টিবিদ্যা ঢের জানি
আজন্ম পাপের ভিতর ধূসর বৃষ্টি
সৃষ্টি করেছিলো জীবনরহস্য।
প্রায় অসম্ভবের মাঝেও বৃষ্টি আসে
তোমার দ্যাখা হবে বৃষ্টিস্নান হবে না
এমন তো হয় না কখনও
রোদমাখা দুপুর রিকশার হুড তোলা
তবুও বৃষ্টি মেখেছিল কুড়িগ্রামের শরীরে...
বৃষ্টি বিষয়ক
মৃন্ময়ী, আজ বৃষ্টি হোক।
অথবা বৃষ্টিই হোক!
শরীরের প্রতিটি ভাঁজে
বর্ষণবারি প্লাবিত হতে হতে
ভেসে যাক ধরলার কাদাবালি!
অন্য কেউ নয়
দেখেছিল শুধু দুধশাদা কাশবন
বাতাশে-হাসিতে সে কি দুলুনি!
সেই হাসিমুখ ভাসিয়ে আজ আবার
বৃষ্টি হোক
অথবা
বৃষ্টিই হোক...
অজ্ঞাতে কাশবন জেনে গ্যাছে
আমাদের অভিসার!
অন্ধ যন্ত্রণা আশ্রয় খোঁজে, আমাতেই বাঁধে ঘর
আমার সেই আমি
আর নেই মৃন্ময়ী!
শহরের ভর-বৃষ্টি-দিনে
রিকশার হুড তুলে
পলিথিন পর্দাঢাকা স্মৃতিটা
এখন ধূসর, রঙচটা।
জন্মোৎসবেও প্রহর গুনতে হয় না;
আমার ধর্মান্তরিত প্রেম,
এখন যৌনতা বোঝে
স্বপ্ন বোঝে টাকা
কলম-খাতা ভুলে গ্যাছে কবিতার কথা
শুধু লিখে যায় চাকরবৃত্তির তত্ত্বকথা।
মন্তব্য