১.
এখন শব্দের আড়ালে ঢেকে আছে বল্মীক গান! অথচ অর্থহীন অপরাধবোধ থেকে ক্ষয়ে গেছে বহুচর্চিত লিরিক। এ মাটির উত্থান ও সংহার বুকে চেপে যেখানে নিঃশ্বাস বিক্রি করেছে কেউ। বনের আড়ালে পাপিষ্ঠ চোখ গড়িয়েছে শাওনের বুকে। কেবলই নির্মাণ! শ্রমিকের হাতুড়ির প্রসব থেকে উঠে কাঠ কাটার অভ্যেসে জ্বালিয়েছ ডোবা দেশলাই। এখন দেখ। চাকার আগে নিওলিথিক সময়। মানুষের আগে জীবনের কাণ্ডজ্ঞান! বীজ ফেটে উঠে গেছে উৎপাদিত খাবারের ধ্যানে।
২.
এ কাঙ্ক্ষিত মোহর। তোমাদের আস্ফালন ছুঁড়ে হয়েছে মৃত মথেদের সারি। অচেনা পুষ্পের বাহার কখনও শত্রুদের মতো শাড়ির নীচে এঁকেছে প্রতিশ্রুতি। আমি সব ভুলে গেছি, একটানা ফুলের অজুহাতে। তবু বলেছি চামড়া খসে যাওয়া মস্তিষ্কের বিকৃত কথা। বলেছি পাকস্থলী ও খিদের উৎসে স্বপ্ন শুরুর কথা। হাওয়া আর জলের ঢেউয়ে নীলফণার আহত কনক! কেউ শোনার নেই। নেই কোনো দস্তার ভিতর আমার উষ্ণ হাতের কারুকার্যময় ছাপ। তবু বলি, তোমার আহার্য থালায় চেপে রেখো আসাদে পোড়া ফেনা ভাতের ভক্তিরস।
৩.
দূরের জামরুল বনে ভেসে উঠেছে বৃষ্টির সংরক্ষণ।
যখন তোমার প্রতিমুক্ত অহংকার ছেনে
কোনো এক দ্বীপ শুকিয়ে যাচ্ছে অবহেলায়।
রুপোর জৌলুস খুলে তৎক্ষনাৎ কে যেন মাপছে
গহনার দোকান ও কারিগরের মুছে নেওয়া সম্মতির বৃদ্ধ দোলক,
এই নাও আশ্রয়টুকু
যেখানে ছেঁয়ে আছে একপাল তারকার ছদ্মবেশ।
মন্তব্য