শামসুন্নাহার হল রুম নং ৫০৪ একটা বর্ষাকাল ক্যালেণ্ডারে
তোমার মনে আছে? কী তুমুল বৃষ্টি সেদিন সকাল থেকেই-
তোমার মন খারাপ- রোদ ছিলো তোমার চুলে!
আমি একঝাঁপি বৃষ্টি নিয়ে শামসুন্নাহার হল, বিকেলেই হাজির
দুইশো তেত্রিশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে।
মনে আছে কী তোমার?
মনে কী পড়ে ছুটি শেষ ফিরবে শহর ছেড়ে দূরের শহর।
আমাকে রেখে যাবে কারাগারে, স্মৃতি রোমন্থন শুধু বসে থাকলো চুপ ।
তোমার মা- তুমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে,
স্তব্ধতারও আলাদা ভাষা থাকে, তাকিয়ে থাকারও থাকে আলাদা ধর্ম।
আমি হাসছিলাম আমি দেখছিলাম সেজদায় স্নিগ্ধ গাঙচিল।
আমি দেখছিলাম কাজল মাখা গ্রীষ্মের চোখজুড়ে দাবদাহ বয়ে চলা অবারিত নদী,
আমি দেখছিলাম শীতকালীন শুষ্ক ঠোঁটের ডগায় ঝুলে আছে কান্না,
আমি দেখছিলাম শরতের বিকেল ছিন্নভিন্ন করে বেরিয়ে পড়ে
একটা হেমন্তকালীন বিধবা সকাল ।
এসব দেখতে দেখতে প্রচন্ড কালো হয়ে আকাশ, নামে বৃষ্টি.... কি তুমুল বৃষ্টি সেদিন!
মনে পড়ে.....
বিদ্যুৎচমকে তুমি গুটিয়ে নিয়েছিলে তোমাকে, বুকেতে আমার।
বৃষ্টি আহ বৃষ্টি......
শামসুন্নাহার হল -কী তুমুল বৃষ্টি।
মনে আছে কী তোমার -
কাঁপাকাঁপা ঠোঁটের নেমে আসা ঝর্ণার গতিতে ভীতু চোখের কোলে ভেজা চুল,
আর প্রশ্ন ছিলো কানে কানে ফিসফিস স্পষ্টতায়- যার উত্তর না দিয়ে
আমি তোমাকে কোলে করে ছুয়ে দিয়েছিলাম কাঠগোলাপের সভ্যতা।
মনে কী আছে,
মনে কী আছে সেদিন ছিলো আষাঢ় মাসের প্রথম দিন।
শামসুন্নাহার হল মনে কী পড়ে তোমার?
একটা পুরো বর্ষা আমাদের হাতে ছিলো হাত উন্মুখ ভালোবাসার হৃদয়ে ছিলো চাষ, নিষিদ্ধ গোলাপ ।
কবি আপনার কবিতা পড়ে হিংসা হয়।
উত্তরমুছুনকবি খুব যত্ন করে মরে যাওয়া মানুষরে হিংসা কেন?
মুছুনএই যে কবিতায় একজন সোয়েব মাহমুদকে বোঝা বড্ড দায়
উত্তরমুছুনকেমন সেটা
মুছুন