(বন্ধুবর বাকী বিল্লাহ, একই ভাবের যাত্রী)
জীবনের কোমল ব্যাকরণ ভুলে, আমিও কোনো কোনোদিন চলে
আসি তোমাদের দলে। আমিও জীবনটাকে তোমাদের সাথে দিতে
চাই। আমার মাথার উপর, নিশ্চয়তা আর প্রথাবদ্ধ স্ট্যাটাস
খুব বেশিদূর এগোতে দ্যায় না। খুব বেশি হলে একটা বিবৃতি,
কয়েক ছত্র বাক্য তীব্র গতিতে ছুঁড়ে দেই। এই তো! এর চেয়ে বেশি
কিছু নয়। কোনো কোনোদিন আমার মধ্যবিত্ত রক্তে লাগে টান, সকল
দুয়ার ভেঙে আমিও তীব্রবেগে ছুটে আসি আমার সমস্ত বোধ
ও চৈতন্যের প্রবল শিহরণে! তোমাদের উত্তাল মিছিলে সঙ্গী
হয়ে পড়ি নিমিষেই। নিমিষেই যেন হাজার শব্দের ঝংকার
তুলে আমার গলার সমস্ত পেশিকে করি আলোড়িত। কৃষ্ণপক্ষ
আঁধার আর পূর্ণিমার সকল আলো তীব্র শব্দের সৌরভে করি
উৎসারিত। কখনো ব্যথার গভীরে ডুব দিয়ে আমি হয়ে যাই
তোমাদের একজন। কখনো নিজস্ব বিষাদের পাণ্ডুলিপি শুঁকে
দেখি শরীরের ঘেমো গন্ধ। চাঁদপ্রদীপ আলোয় মধ্যবিত্ত রক্ত
আমার, কখনো হয়ে ওঠে জোছনাময় আর কড়াপড়া তোমার
শক্ত হাতে খুঁজে নিতে চাই রঙিন আলোর উজ্জ্বল জোনাক পোকা!
এইরকম; খুব ব্যক্তিগত বিষাদের দিনলিপি আমার! খুব
সহজেই বুকের সবগুলো কোণায় ঘন্টা বেজে ওঠেছে মন্দির।
খুব সহজেই নেমে আসে শরীর জুড়ে জল! সহজ শর্তে আমি
উঠে যাই দ্রুতলয়ে কয়েক ধাপ সিঁড়ি। আর জীবনের কিনারা
ঘেঁষে গড়ে ওঠা অজস্র স্বপ্নের পাশে- শুধু খুব সহজেই পথ
ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে, সব ছেড়ে হতে পারি না, তোমাদের একজন!
মন্তব্য