আজকাল এক ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রায়ই। অনেকেই প্রশ্নটি করছেন; এটি দোষের কিছু না। স্বাভাবিক কৌতুহল থেকেই জানতে চাইছেন আমরা জানি। প্রশ্নটি হলো,
- ‘বিন্দু ইদ সংখ্যা প্রকাশ করবে না?’
- ‘বিন্দুর ইদ সংখ্যা কবে প্রকাশিত হবে?’
প্রিয় পাঠক, বলুন তো ‘বিন্দু কি কোনও ধর্মীয় পত্রিকা?’
অবশ্যই তা নয়। আর ইদ সংখ্যা যদি প্রকাশ করি তাহলে পূজা সংখ্যা কেন নয়, বড়দিন সংখ্যা কেন নয়, বুদ্ধ পূর্ণিমা সংখ্যা কেন নয়? পৃথিবীতে হাজারো ধর্ম এখনও টিকে আছে। তাদের উৎসবে সংখ্যা কেন নয়?
কারণ, আমরা সবসময় চেয়েছি বিন্দুকে ধর্মীয় পক্ষপাতমুক্ত নয়, বরং সকল প্রকার ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে। কলকাতায় পূজাসংখ্যার জয় জয়কার, বাঙলাদেশে ইদসংখ্যার জয় জয়কার। সেটা যাদের প্রকাশ করবার ইচ্ছে, করুক গে। আমাদের কাজ ঐসব করা নয়। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির লিটলম্যাগ হিসেবে আমরা বরং বৈশাখ সংখ্যা, বর্ষা সংখ্যা, শীত সংখ্যা, বসন্ত সংখ্যা এই ধরনের কাজ করতে পারি। সাহিত্যে প্রাসঙ্গিক এরকম আরও অনেক সংখ্যা করবার ইচ্ছে আছে। আমরা মনে করি, ধর্মীয় উৎসব সংখ্যা সাহিত্যে একদমই অপ্রাসঙ্গিক।
ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত পালন, কিংবা না পালনের ব্যাপার। এ নিয়ে বিন্দু’র কোনোরকম আগ্রহ নাই।
আর এইসব ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে যা কিছু প্রকাশিত হয়, অর্থাৎ যারা এসব নিয়ে বাণিজ্য করে (মূলত সংবাদপত্র) সেসবের মানের কথা তো বলাই বাহুল্য; অধিকাংশই পাতে তোলা যায় না। এসব সাহিত্যের কোনো কাজে আসে না। এই ধরনের ‘বস্তাপঁচা মাল ছেপে পরিবেশ দূষণের পরিবর্তে ওইসব পৃষ্ঠাজুড়ে বরং বেশি বেশি চাকুরীর বিজ্ঞাপন ছাপলে এই বেকারত্বের দেশে কিছুটা হলেও কাজে আসতো।’
মোদ্দা কথা হচ্ছে, ‘বিন্দু’ কখনো ধর্মীয় সংখ্যা প্রকাশ করেনি, করবেও না। আমাদের প্রিন্ট সংস্করণের পাঠকগণ এ বিষয়ে আগে থেকেই অবগত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে বিন্দু যুক্ত হবার কারণে পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে বহুগুণ। তাই বৃহত্তর নতুন পাঠকের কাছে এই বিষয়ে বিন্দুর অবস্থান পরিষ্কার করার দরকার ছিলো।
যথাযথ অবস্থান৷ ধন্যবাদ৷
উত্তরমুছুনযথার্থ বক্তব্য। বিশ্ব মানবতার সপক্ষে কোনো দিবস পালন করা যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসও।
উত্তরমুছুনঠিক কথা
উত্তরমুছুন