লিখেছেন: আরণ্যক টিটো
এই সিন্ধুর জলের লীলায় (সিন্দাবাদের) নৌকা ভাসানোর সময় স্মরণে মনে পড়লো ২০০২/২০০৩ সালের কথা...
(তখনও বিন্দু ফুটে ওঠেনি রঙ ও রেখায়)
হটাৎ কোন এক সন্ধ্যারাতে মুটোফোন বেজে ওঠে ধ্বনির তরঙ্গে... হ্যালো! বলতেই... ওপার থেকে এলো ভেসে ভাষা ভাষা স্বর-- আমি চারবাক-এর সম্পাদনা পর্ষদের
(নাহিদ আহসান, মজিব মহমমদ, আরণ্যক টিটো, রিসি দলাই)
কারও সাথে কথা বলছি?
আমি আরণ্যক টিটো বলছি, আপনি?
আমি রাইয়ান যানিক সাম্য, কুড়িগ্রাম থেকে। চারবাক' পড়লাম। এবং এখান থেকেই কন্টাক্ট নং নিয়ে ফোন করলাম।...
সাম্য তখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে।
পৈত্রিক সূত্রে বাম রাজনীতির ছোঁয়া, সাহিত্য ও বিপ্লবের রঙে রঙিন তরুণ তরবারি।
নিজেদের মতো করে ভাবা লেখা, দ্রোহ> লিটল ম্যাগাজিন> প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা
এসবের মর্মে ২০০৬ এ এসে বিন্দু ফুটে ওঠে রঙ ও রেখায়...
ছোট কাগজের পরম্পরায় যুক্ত হয়... প্রথম চুম্বন রেখা ধরে সে আজও বর্ত্তমান...
এর মাঝে অনেকগুলো সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে।
সংখ্যাগুলো নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে... বিন্দু'র বর্জন ও অর্জনের পরিধি নির্মাণে...
bindumag.com বিন্দু
সেই ফোন থেকে আজ ২০১৯ এসেও সাম্য'র ফোন...
এ দীর্ঘ সময়ের মাঝে ফোনে ফোনে
কতো যে কথার রসনা রসায়ন করেছি... করছি... যার কূল নাই কিনার নাই... আছে কেবলই সিন্ধুর জলধারা...
সাহিত্যর সহিত হওয়ার পথে এই যে আমাদের পথচলা চলতি পথের বিপরীতে... যেখানে ছিলো না কোনও আড়াল... ছিলো সহজতার সম্পর্কচর্চা!
এই
সহজতার সম্পর্কচর্চায় সাম্য'র সাথে (চোখের) দেখা হয় ৪/৫ বার। আমাদের দেখা হতো/কথা হতো মনে... মননে... ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনালাপে...
bindumag.com বিন্দু
তখনও আমরা ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রবেশ করিনি...
কী না কথা হতো আমাদের মাঝে, শিল্প সাহিত্য রাজনীতি সমাজ দর্শন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান প্রতিপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা... নিয়ে। এ সবের পর্যালোচনা, মত প্রতিমতের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে পথচলা।
ক্রমাগত
আমার কাছে সাম্য রাইয়ান, কুড়িগ্রাম ও বিন্দু সমার্থক হয়ে ওঠে!
তবে আমাদের এই পথচলা অনেকের গাত্রদাহের কারণও হয়ে ওঠেছিল, উঠছে... আমরা কখনো এসবকে গুরুত্ব দেইনি... বরঞ্চ আমি আনন্দ পেতাম, সে গাত্রদাহটা যদি দর্শনগত হতো... এ দার্শনিক অভিযানের রসদ তাহাদের ছিলো/আছে কি না সন্দেহ আছে।
কিন্তু নদী থেমে থাকেনি... আমাদের সম্পর্কও...
যদিও কখনও আমি বিন্দুর সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলাম না, ছিলাম সহিত হওয়ায়....
তবুও আমাদের কথা হতো পত্রিকার বিভিন্ন বিষয়ে... সুখে দুখে...
যা আজও বর্ত্তমান....
বাংলা কবিতার অর্ধনারীশ্বরকাণ্ড 'ফুলেরা পোশাক পরে না'র অনেক কবিতাকে ধারন করেছে 'বিন্দু' তার অনেক সংখ্যায়... অনেক কবিতাকে পূনর্মুদ্রনও করেছে।
(বিষয়ের প্রাসঙ্গিক অবতারণায়...)
গদ্যের পুনর্মুদ্রনের সাথে যে কবিতার পুনর্মুদ্রণও হতে পারে এই বিষয়টাকে ভাবিত করছে বিন্দু.... বিষয়টি ভাবনার... পর্য্যালোচনারও...
bindumag.com বিন্দু
বিন্দু'র যুগপূর্তিতে এসে আজ মনে পড়ছে, জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুঁড়ি কুঁড়ি বছর পার...
আজ ২০১৯-এ এসে বিন্দু'র নতুন করে ভাবার আছে... আছে পর্য্যালোচনার... আত্মবিশ্লেষনের... ছোট কাগজ কী ও কেন? সে 'কী ও কেন'র পথে কতোটুকু ধারণ করেছে বৃহৎ বিষ্ফোরক....
'বিন্দু' সেই ম্যাগজিনের ভূমিকায় কতটুকু অবতীর্ণ!
'বিন্দু' আমাদের। তাই পর্যালোচনা আমাদেরকেই করতে হবে...
এই যুগপূর্তি সংখ্যায় তার অবতারণা হোক।....
bindumag.com বিন্দু
'বিন্দু' এই নামবাচক শব্দটির সাথে 'আরণ্যক টিটো' নামবাচক শব্দটির যে আন্তর্সম্পর্ক সেই 'বিন্দু'র উৎসভূমি কুড়িগ্রাম! যেখানে 'আরণ্যক টিটো' নামবাচক শব্দটিকে ব্যপ্তি দেওয়ার সখা, সম্পাদক, কবি সাম্য রাইয়ান কে যুগপূর্তিতে এসে 'বিন্দু'র পক্ষ থেকে জানাই আগামী রাইফেলের অভিবাদনা!
সাম্য রাইয়ান, কুড়িগ্রাম ও বিন্দু শব্দগুলোর সাথে 'আরণ্যক টিটো'র অনেক পরম্পরা আছে...
এই পরম্পরাসূত্রে
একবার যাওয়া হয়েছে অরণ্যশহর কুড়িগ্রামে...
....
ভাবছি, আবার কখনও গেলে
কুড়িগ্রামে...
ক-এর মাথায়
চন্দ্রবিন্দুর
টোপর পরিয়ে দেবো।
জলজ প্রণয়ে
অরণ্যনগর
ছুঁয়ে ছুঁয়ে বয়ে যাবে ধরলার মন।।
আর
তারই সূত্রমুখ বিন্দুর জয় হোক... জয়তু বিন্দু...
শুভ যুগপূর্তি...
মন্তব্য