অন্ধকারের সমুজ্জল হাসনুহানা
বলাকায় কেটে যাওয়া সন্ধ্যাটা বড্ড ভারী ভারী লাগে। মাটি চাপা দিয়ে রাখি। অন্ধকারের হাসনুহানা সমুজ্জল লেজ দুলিয়ে ঝুলে থাকে। ক্ষত স্থান ক্রমশ ধ্রুব থেকে ধ্রুবক। এবার লবণ দিয়ে রাখি। হাসনুহানার চিৎকার; মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক ঝাড়বাতি। লণ্ঠন ঝুলিয়ে দিলে কোন সন্ধ্যায় আর অনুজ্জল থাকেনা।
বিড়ালের মোলায়েম ত্বক
বিড়ালের মোলায়েম ত্বক জুড়ে মৃত ফসিলের নির্মল অভিযোজন। মাথার ভিতরে একটানা ধানপোকার গর্জন শুনে হারিয়ে খুঁজছি ফড়িং রঙের শৈশব। মৌচাকে নতুন একটা শৈশব বানিয়ে রাখি। সুযোগ পেলে নিজেকে মোমের মত গলিয়ে নেই। রঙচটা সেই শৈশবে পুরনো সব বন্ধুই এখন মৃত ফসিল। ইঁদুরে ভর করে যারা এখন বিড়ালের পেটে। বিড়াল এখন ধানপোকা হয়ে মাথায় ভর করে আছে।
মন মঙ্গলের মেঘ
পবিত্র দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকে মন মঙ্গলের মেঘ। সুউচ্চ দালান থেকে ইদানিং মানুষ দেখা যায়। ছোট ছোট তারাবাতির মত মানুষ। কখনো আলোকোজ্জ্বল সন্ধ্যাবাতি। ঝাড় থেকে হৃদয়ের দূরত্বও অসম। মানুষ থেকে আরও দূরে। কিছুটা দূর সমুদ্রের জাহাজের দিকে চেয়ে থাকা নাবিকের দৃষ্টির মত। এবার জেগে উঠা টাইফুনের নাম রেখেছি জীবনানন্দ। জাহাজেরও থাকে জীবনানন্দ পাঠ।
মন্তব্য