সংবিধান-সঙ্গম
সঙ্গম শেষে আপনি সংবিধানের
যে কোন পৃষ্ঠা দিয়ে মুছে নিতে পারেন
শিশ্ন আপনার, রাষ্ট্র বিধাতা।
আমরা তো আপনার শরীরে জেগে উঠা
বিন্দু বিন্দু স্যাডিস্ট ঘাম, যা সঙ্গমের সময়
জন্ম নেয়, সঙ্গম শেষে শুকিয়ে যায়।
আপনি চাইলেই টয়লেট টিস্যুর পরিবর্তে
ব্যবহার করতে পারেন সংবিধানের
যে কোন অনুচ্ছেদ। মানুষকে ধূলো হয়ে
জমে উঠার আগে রপ্ত করুন
সংবিধান-সঙ্গম; পতাকার সাথে।
বসন্তে কখনো শুভেচ্ছা জানিয়ে পত্র দিও না
বসন্তে কখনো শুভেচ্ছা জানিয়ে পত্র দিও না।
এই তৃতীয় বিশ্বে প্রাপ্তি আর ক্ষুধার্ত একটি দেশে
বাস করে চাই না প্রথম বিশ্বের উষ্ণতা।
ফুলে ফেঁপে উঠেছে হাতের পেশী,
সাপের মত ঘাম নেমে আসে
লবণাক্ত এক একটি নদী।
ডুবে যায় আবার উঠি।
ঘাম, বিষাক্ত পুঁজিবাদের ঋণ
মেটানোর একমাত্র উপায়।
তাই শুভেচ্ছা পাঠিয়ো না।
এক টুকরো পাউরুটি ছুঁড়ে দিও।
অনাহারে পাঁজরের খাঁচা বের হয়ে গেছে।
আমরা সন্তান ধারণে অক্ষম হতে হতে
আবারো প্রজনন যন্ত্র হাতে তুলে
নিই। চতুর ইতিহাস বলে, এই সন্তান
পুঁজিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে বৃক্ষরাজি
কেটে ঘর বানাবে, হৃষ্টপুষ্ট হবে
ফসলের মাঠ, শ্রমিকের কালো
রং সফেদ হয়ে যাবে, বাড়িতে
ঘরে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বাজবে দ্বিপ্রহরে।
রাতের পর একটি করে ভোর নেমে আসে,
আর আমরা দেখি কারখানার কালো চিমনি
দিয়ে ধূসর ধোঁয়া আড়াল করছে আমাদের
চোখবন্ধ মণিতে ভবিষ্যতের টলটলে জল।
সন্তানগুলো নিদারুণ অপুষ্টিতে নেতিয়ে পরে
মায়ের স্তনে।
বৃথা তাদের চুষে নেওয়া।
স্ত্রীগণ সারা সন্ধ্যা কাঁচের দৃশ্যমান হাঁড়িতে
জমা করে রাতের কুয়াশা, ভগ্ন হাত
উত্তাপহীন যৌনাঙ্গ বিছানায় শুয়ে শ্রমিক নামক
নির্বাক প্রজাতি ক্ষয়ে যায়; জুতোর কালিতে
ধুলো জমে উঠবার আগেই। লাল আঙ্গুলি দেখে
ঘুমাতে যাই মায়াবী নেত্র দুখানি, আগামীর ভোর
সন্তান বাঁচানোর আর একটি নিষ্ফল যুদ্ধ।
মন্তব্য