শ্রমে জেগে উঠে পুঁজিবাজারের সূচক
উর্দ্ধগামী তীরের ফলা এক্স ওয়াই অক্ষের মাঝে
সুঁচের ফোড়ে ফোড়ে জীবনের হিসাব আঁকে
ঘামে দামে বিকিয়ে দেয় নাম মাত্র মূলে
ওদের কাছে সময় ও জীবন বন্দি হয়েছে
কবিতা বোঝেনা শিল্প বোঝেনা বোঝে ওভারটাইম
শিল্পপতির লালাসার শিকার এককটা যন্ত্র
প্রবৃদ্ধি বাড়ে রেমিটেন্স বাড়ে বাড়েনা জীবনের মান
দেশের অর্থনীতি চাকা সচল রেখে চলে দিনে পর দিন
লাল ঝান্ডা কাস্তে হাতুড়ী এখন সেকেলে অস্ত্র
প্রতিবাদের ভাষা এখন সেলাই মেশিনের নিডলে
প্রকৃতি দেখেনা দুপুর দেখেনা এখন রাত্রি না দিন
আলসেমী বোঝেনা আইডি কার্ড গলা ঝুলায়
হাজিরা কার্ডটি থাকে ব্যাগে বা পকেটে অমূল্য
সময়ের আগেই গেটে দাড়াতে হবে কারখানায় ঢুকতে
যন্ত্রচালিত একেকটা শরীর অসীম কষ্টের আকর
কেউ এগিয়ে আসেনা কষ্টের বোঝা হাল্কা করতে
কোন তুলিতে আঁকা হয়নি ব্যস্ত জীবনের ছবি
সেমিনারে হয়না বলা অবহেলিত এক ঝাঁক কর্মী
ওরা আমাদের ভাই বোন কষ্টে থাকে বেঁচে
ওদের কষ্টে ভিতের উপর আমরা আরাম করি
আমাদের কষ্ট না করলেও চলে ফাঁকির দুনিয়া
জোয়াল কারো কাঁধে তুলে দিতে পারলেই বাচি
অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিতের তকমা দিয়েছে লাগিয়ে
রক্ত ঝরাতে না জানলেও ঘাম ঝরাতে জানে
পরিশ্রম করতে পারে বলেই ফাঁকি বোঝেনা
অতীত চিবাতে ভালোবাসি বলেই এড়িয়ে যাই
আমরা আছি হাজার হাজার বছরের দাসপ্রথা নিয়ে
তাদের বিপ্লবের ইতিহাস মান্য করি সাড়াম্বরে
দাস দাসই থেকে যায় বিভিন্ন রং মেখে নেয় শুধু
সরকারী বা বেসরকারী কর্মকর্তারা আয়েশী দাস
শিক্ষার সনদে তাদের ফাইল ভারী ফাঁকি পরিপূর্ণ
খেটে মর তোরা কেউ নেই তোদের সাথে
কোন খবরে থাকবিনা তোরা শুধুমাত্র দূর্ঘটনা ছাড়া
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে তোদের আশা আকাঙ্ক্ষা
ভবন ধসে ঘুড়িয়ে যাবে তোদের সোনালী ভবিষ্যৎ
এক হয়ে নিজেদের অধিকারের কথা বলা যাবেনা
বেতন ঠিকমত দেয়না বোনাস টিকমত দেয়না
ফুপিয়ে অভিমান ভরে কাজ করবি কোন আশায়
ছাড়তেও পারবিনা সেই ফেরার পথে কাটা বিছানো
শৃঙ্খলার শেকলে হাত পা বাঁধতে দিয়েছিস যখন
একটু সবুর কর মৃত্যু বেশী দূরে নয় এসে পরবে
পতঙ্গের মত ঝাপিয়ে পড়বি জ্বলন্ত আগুনের ভিতর
প্রতিদিন জলার চেয়ে একবারেই জ্বলে শেষে মুক্তি।
মন্তব্য