০১.
কেউ এসো, কেউ সত্যিই এসো। এই উদভ্রান্ত সন্ধ্যার আবহ আমার বুকের ভেতর পর পর মোচড় মেরে উঠছে। যেন দমবন্ধ অবস্থায় একটা লাল সার্কেলের চারপাশে ঘুরছি শুধু ঘুরছি...
পথ দেখাও, পথ দেখাও হে নাথ! মাতৃমুখ ঘিরে অজস্র বিভীষিকা আজ বনবন করে ঘুরছে।
০২.
দূর সম্পর্কের জানালা দিয়ে কতদূর তাকানো যায়, বলো? মিস-টাইমিং হওয়ায় ট্রেন ফেল! মিরাকলে বিশ্বাস ছাড়া এখন আর উপায় নেই, বাবু! এখনই অন্ধ হতে চাই। ড্রাগন, ড্রাগন, এদিকে ব্লাক-আউট। ছাতা নেই কোনো। প্রচণ্ড রোদ রে ভাই! ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। আমার ত্বক পুরে যাচ্ছে! হেই, এই সন্ধ্যেবেলা, তোমাকে মনে পড়ছে খুব। আর মাথার উপর থেকে মাতৃছায়া ধীরে ধীরে উধাও হবার উপক্রম। তোমার অর্ন্তদৃষ্টি কতদূর প্রসারিত? প্রশান্ত ঢেউয়ের উপর নৃত্যরত কোন সে ঐরাবত, পালাক্রমে তছনছ করে দিচ্ছে সব? সোনাভান, সময়টাই টালমাটাল। বেসামাল হয়ে পড়ছি কেবল। সন্তর্পনে একবার ফিরিও যতনে।
আমার টাইম-আউট রে!
০৩.
একদিকে মা, একদিকে তুমি, আমি মনভূমি মাড়িয়ে চলেছি যে কই! আকন্দ ফুলের মালা আর পড়া হলো না। সবুজ-পাখি, টঙ্কার কতভাবেই তো তোলা যায়। এই যে, এইদিকে চলে গেলো নৈঃশব্দ্যের মাঠ; আর ওই দিকে তুমি। জলের ভেতর আজ মা’র মুখচ্ছবিই বেশি স্পষ্ট। আমার পুরনো গোলাপ-বাগানে মা’র নামে নেমে আসছে থৈ থৈ মহাশূন্যের রথ। আমিও যাবো, আমি যাবো, আমাকে রুখো না কেউ। কেন যে এতো ঢেউ এসে ভাসিয়ে নেয়! কেন যে মাতৃকণ্ঠ শ্রবণ আজ এতোটা ব্যথাতুর! আমিই জানি সেই গোপনতার কথা। আমিই জানি সেই অদৃশ্য রথের নীরব আগমনী বার্তা। আমার ঘুমের ভেতর, রে হলুদিয়া, তুই তো জানিস, কেন এতো ডার্ক-আওয়ার। তুই তো জানিস, কীভাবে পাজরের পাঁশ ঘেঁষে এতো এতো মরণ-মূর্ছা!
ওই তো, ওই যে আমার মা। তাঁর চারপাশে সহস্র আলোকবর্ষ আর বিকল আমার ছায়া। শোনো, তোমার পুরনো পাসওয়ার্ড এখনো অটুট। পারো-তো মা’র ছায়ার পাশে একটা পাহাড় এঁকে দিও।
একাকী-মানুষ ফেলে এতো দূরে কীভাবে আছিস?
০৪.
সকল পথ ফুরায়েছে আজ। সকল তৃণসন্ধ্যা ব্যথিত-বকুল। দূরে, অস্পষ্ট যে ক্রন্দন-ধ্বনি, তা এক যুগান্তরের স্মৃতি!
ভৌতিক ছায়ার অধিকারে চলে গেছে সবকিছু আজ। আমিও; আমাকে রাঙানো স্বরব্যঞ্জন, যাকে তুমি হারানো মানিক বলো, চুম্বকক্ষেত্রের মতো তা স্ববিরোধী। তবু এতো ওঙ্কার কোথা থেকে আসে, কোথায় যে যায়! এই যে, একা একা পড়ে থাকা, তার তরে, আজ, সর্বশূন্য ফলাফল রয়ে গেল শুধু।
দূরের মিনার থেকে ভেসে আসা ধ্বনিকেও, হায়, বিক্ষত মন্ত্রের মতো মনে হয়!
০৫.
দৃশ্যে যে ছিলো, সে অন্য কেউ। অনাহুতের মতো ফ্রেমে ঢুকে পড়া শুধু। ওগো রাত্রি, হে তুমুল আঁধার, ঢাকো; আমাকে আড়াল করো। দৃশ্যে, চিরমিলনের হাসি, অমলিন থাক। চলাচল গতিশীল হোক আরো।
দৃশ্যচ্যুত আমি, বিদায়ের ক্ষণ এলো বুঝি চলে!
প্রতিটি খণ্ডই চমৎকার! আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম৷
উত্তরমুছুনWow‼ This website is really great. Carry on…
উত্তরমুছুনখুব ভাল লাগলো
উত্তরমুছুন