য্যানো- দুপুরের কর্মব্যস্ত রোদঘামে বুকের জেবে ভিজে যেতেছে একটি অপঠিত চিঠি- ফ্রম সকালের রোদ।
দূ
উ
উ
উ
র
বহুদূরে- বিকেলের হালট ভেঙে চেয়ে দেখি-
নগরায়নের অর্গাজমে- আদি পেশাদারিত্ব
বনেদী ভোগদখল, হালচাষের ক্যামিস্ট্রি ফ্যালে শরনার্থী শিবিরে দলবেঁধে উড়ে যেতেছে সব- গেরস্থালীর পাখি। কোথাও ফের- সহস্র ক্রোড় করাতকল মজুরের রক্তাক্ত ধ্বকে- জিন্সের গুড়ো সন্ধ্যা এক ঢুকে যেতেছে- পৃথিবী চরাচরব্যাপী- ডিপ্রেসড অলিভের ক্ষেতে।
আর এইক্ষণে-
এই যে হেমন্ত এসে- আজন্মকাল পৃথিবীর বুক হতে দিব্যি চুরি করে যেতেছে দিবসের দু’-দু’ঘন্টা সময়। এতে'ইবা পৃথিবীর কোথায় কার কি এমন এসে গ্যাছে কখন! দুধেল বুদবুদে- জাড়ের নূপুর পায়; সন্ধ্যা এক ঢুকে যেতেছে যামিনীর বুক- বোবা পাইনের বনে। কোথাও য্যানো নিমের পাতার ঝুনঝুনিতে আঁধারের ট্র্যাজিক বেজে ওঠে; মওতা বাড়ীর গানে।আর আমার জীবন- যেখানে রাত এক নিঃশব্দ বিউগল বাদক।যে কিনা বিউগল বাজাতে বাজাতে আঁধারের তরঙ্গ ভেঙে পৌছে যেতেছে বেলাভোরের পথ; ফজরের আজানের পাশে।
২.
কোথাও য্যানো- রিফিউজি শিশুর মূক যৌনতায়
বাসকের পাতার ভাইব্রেট বেজে ওঠে-
সামন্তবাদের অরেঞ্জ পিরামিড- বুর্জোয়া ব্রেডবাস্কেটে।
কোথাওফের- আহত টিয়ার ঠোঁটে- শিমুলের ফুল-
বিধবা সারসের নিরাশ্রয় বূনির বোঁটায়-
পৃথিবীর এইসব যুদ্ধ-যুদ্ধ খেল- নিহিলিজমের কলামিতি ঝরে পড়ে।
তত্রাচ- পৃথিবীর সর্বত্র আমাদের এতোসব লুম্পেন দিন- পোষ্ট মডার্নিজমের ক্ষুধার্ত কঙ্কাল চোখে-
উত্তরের ট্রান্সপারেন্ট হাওয়ায় ফিরা ফিরা আসে-রেডিও দিনের গান- সনাতন মিথ-
নীলিমার প্রান্তর- গাঙ মাটি নারী ও জল জোছনার তরে।
৩.
এইখানে পৃথিবী- হেমন্তে এসে;আজানুলম্বিত ছায়া বিভ্রমে ঝুলে আছে- নিহত নেউলের মতোন করে; কাঠবাদামের গাছে। আর-
এইসব পাতা ঝরার দিনে কে য্যানো আমারে-পিঙ্গল সঙশয়ে এসে বেসে যেতেছে ভালো...
বালিকা ইশকুলের পথ ধরে শাশ্বত প্রণয়-নতজানু দাঁড়িয়ে;
দুপুরের দুর্বৃত্তপনায় চুরি হয়ে যাওয়া রোদ নাকফুলের শোকে বিকেলের মতো শিশু হ'য়ে যেতেছে আজানের পাশে।
মৃত্যুর কোরাস গেয়ে ওঠা দুঃসাহসীক মৃত্যু;
ট্র্যাজিক সাইরেন বাজিয়ে ইতিহাস হয়ে যেতেছে বিষণ্ণ জলপাই বন- মহাকালের পথে।
এতোসব ব্যাপ্ত অনুভব- মৃত্যুর সারাৎসার অনুভূতি; অকাল প্রস্থানে পৃথিবীর বুকে-
স্তব্ধতায় নেমে আসে বেদনার তকলিফ...
শোকসন্তাপে- আসমানী কেতাবের তিলাওয়াত ঝরে পড়ে; তিতিরের চোখে।
মন্তব্য