জুয়ার শহর লম্বা হতে হতে নির্মলেন্দুর আকাশ ছুঁয়ে ফেললো।
যদিও তার আকাশনামা পড়িনি তেমন,
কিন্তু জানি আকাশ হতে হলে কতটা দূরের আকাশ ছুঁতে হয়
আকাশ ছিঁড়ে উচ্চতায় পৌঁছে গেলো বসত ঘর, উদ্ধত জানালায় বসে ছুঁতে পারিনি আকাশের কার্ণিস
বাড়িটাকে কেউ কেউ আকাশ বলে ভুল করে
আকাশি পেইন্টে দৃষ্টিবিভ্রম, ছাদ থেকে তাকালে অনেকেই বলে দাম্ভিক মেয়েটা কি আকাশ ছুঁতে চায়
তখন আমার কষ্ট হয় লেবুফুলের জন্য, বাসন্তী রংয়ের একটা জামার জন্য, জয়ন্ত'র জন্য-
পুরোনো বাড়িটা, ফেলে আসা মেহেদি গাছের ডগা
জাফরিন নামের মৃত মেয়েটা আমাকে ভীষণ টানে;
অস্তিত্বের ভিতর বিপন্ন হয়ে যায় আমার অস্তিত্ব
ক্রমশ ছোট হতে হতে নেমে আসি পাসপোর্ট অফিসের দালানে। একটা কাগুজে মুক্তির স্বপ্নে অহর্নিশি
একটা ধাবমান আকাশকে সময় দিয়ে বাধবো বলে কি দারুণ অপপ্রয়াশে উড়বার দিন গুনছি!
ফুলের কেয়ারী আর দূরের টাওয়ারে চোখ রেখে দিব্যি জানি আমিও জুৃয়ারী
না আকাশ, না স্বপ্ন ,আমার দশ আঙ্গুলে নিপূন কারবার করে ব্যাবসা
রক্তে নাচে ক্যাসিনোর আফিম, অধিবিদ্যার মোড়কে চকচকে ধাতব আর কড়কড়ে নোট।
শিশুনিকেতনে আমার স্বপ্ন ছিলো, আকাশের মতো বড় হবো,
বিস্তর এলাকা চষে ধরে আনবো আকাশ।
মুঠো ভ'রে গেছে বেহিসাবী প্রাপ্তির লজ্জায়
আকাশ রাখবো কোথায়, কোন আকাশে উড়বে আমার জুয়ারী স্বভাব মন?
আকাশ নেই বিহঙ্গ ডানায়।
মন্তব্য