১.
আমি তো জানি আদিকাল হতে মানুষ থেকে
মানুষেরই দূরত্ব বেড়েছে অধিক; আঁটসাঁটো বর্ণনা ব্যতীত
সত্য-সম্পর্কিত দৈবগুণে জানি, বিস্কুটের চারপাশ ঘিরে থাকে মাছি।
অথবা মৌমাছির সমস্তদেখা কেবলই গাঢ় বেগুনী রঙের একাগ্রে; মোটামুটি
নিয়মাবলি এই-তথাপি নিজের ছায়া ছাড়া কারো কোনো ক্ষতি করিনি অবশেষে।
বীরের তাড়িত ক্ষতে দীর্ঘকালব্যাপী থাকে না তো পোঁচের দাগ;
যার থাকে, সে সতত বিদীর্ণ নিজেরই অভিলাষী মনে।
আমরা বড় হই কিন্তু বুঝতে অক্ষম চিরকাল, যেহেতু মুরগীর
কাছে চারকোণা লাগে চাঁদ; যেহেতু সবারই সফলতা
লাভের নিজস্ব কৌশল আছে; ফলে ব্যক্তিগত জীবনীতে
পৃথক পৃথকভাবে লিখে রাখে স্মৃতি।
২.
কোনো শব্দ উচ্চারণেই দু'টি পরস্পর বিরোধী
সংঘাত সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে এলে, হয়
অর্থহীন অথবা অর্থময়তার তৈরি স্বভাবে
নিজের তাগিদে আরো একটি শূন্যস্থান প্রকৃতি
যে ধারণ করে, তাকে নিয়ম বলে চালানো ভালো;
প্রকৃতপক্ষে সমীকরণের মতো এত ক্রূরতার
ছিল না প্রয়োজন; বিষয়টা আপনিও জানেন;
চিন্তাকরণে উপস্থিত হয়-এর আগেও, পূর্বে
এই বাক্যলাপে জড়িত ছিল আপনার প্রেমিক;
নিশ্চিন্তরূপেই পরদাদা আমলের কেউ যেন
পরম্পরায় সে কথা বলেছে; তবু আপনি যদি
সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে মনে করতে না পারেন,
এমতাবস্থায় একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলছি:
আপনার চুল অবিস্মরণীয়া; হে, মাদমোজেল।
৩.
আরো কিছু আকর্ষিক চিন্তামাধুর্যের কথা ঘুম ভাঙলেই
মনে পড়ে।
যতটা পার হয়েছি আস্বাদিত, তারপরও আকাঙ্ক্ষিত আরো কিছু খনাখন্দ।
কোথাও যাবার আগে কতকাল ভাবি; লিখে রাখি দরকারি কাজ ও
বিনোদনমূলক আনন্দ। শয়নঘরের মতো অনিবার্য তুমি,
দুরন্ত মুকুল। কুক্কুরীয় সমাচ্ছন্নতায় প্রায় একই রকম অভিব্যক্তি
নিয়ে কিছু বিশেষত্ব ধরে রেখে, তোমার নাম পুচু-
আজ সাবেকীধারার সৌন্দর্যতত্ত্বে বিদ্ধ হ’য়ে তোমার কথা পারি।
সমুদ্রের দিকে যাই, ঢেউয়ের যৌথকলায় তবু বিশ্বাস আছে,
আমার সন্দেহ স্রেফ কাকের তাড়ায়;
কাক, পাখিত্বে পটু বীজ ছড়ানোর অপার দক্ষতায়।
এতকাল হ’ল পৃথিবীর বয়স; আছো গাছ, বনানীর কসমোলজিতে একা।
দারুচিনি গাছের চামড়া আমরা চা’র সাথে খেতে ভালোবাসি।
আমি তো জানি আদিকাল হতে মানুষ থেকে
মানুষেরই দূরত্ব বেড়েছে অধিক; আঁটসাঁটো বর্ণনা ব্যতীত
সত্য-সম্পর্কিত দৈবগুণে জানি, বিস্কুটের চারপাশ ঘিরে থাকে মাছি।
অথবা মৌমাছির সমস্তদেখা কেবলই গাঢ় বেগুনী রঙের একাগ্রে; মোটামুটি
নিয়মাবলি এই-তথাপি নিজের ছায়া ছাড়া কারো কোনো ক্ষতি করিনি অবশেষে।
বীরের তাড়িত ক্ষতে দীর্ঘকালব্যাপী থাকে না তো পোঁচের দাগ;
যার থাকে, সে সতত বিদীর্ণ নিজেরই অভিলাষী মনে।
আমরা বড় হই কিন্তু বুঝতে অক্ষম চিরকাল, যেহেতু মুরগীর
কাছে চারকোণা লাগে চাঁদ; যেহেতু সবারই সফলতা
লাভের নিজস্ব কৌশল আছে; ফলে ব্যক্তিগত জীবনীতে
পৃথক পৃথকভাবে লিখে রাখে স্মৃতি।
২.
কোনো শব্দ উচ্চারণেই দু'টি পরস্পর বিরোধী
সংঘাত সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে এলে, হয়
অর্থহীন অথবা অর্থময়তার তৈরি স্বভাবে
নিজের তাগিদে আরো একটি শূন্যস্থান প্রকৃতি
যে ধারণ করে, তাকে নিয়ম বলে চালানো ভালো;
প্রকৃতপক্ষে সমীকরণের মতো এত ক্রূরতার
ছিল না প্রয়োজন; বিষয়টা আপনিও জানেন;
চিন্তাকরণে উপস্থিত হয়-এর আগেও, পূর্বে
এই বাক্যলাপে জড়িত ছিল আপনার প্রেমিক;
নিশ্চিন্তরূপেই পরদাদা আমলের কেউ যেন
পরম্পরায় সে কথা বলেছে; তবু আপনি যদি
সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে মনে করতে না পারেন,
এমতাবস্থায় একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলছি:
আপনার চুল অবিস্মরণীয়া; হে, মাদমোজেল।
৩.
আরো কিছু আকর্ষিক চিন্তামাধুর্যের কথা ঘুম ভাঙলেই
মনে পড়ে।
যতটা পার হয়েছি আস্বাদিত, তারপরও আকাঙ্ক্ষিত আরো কিছু খনাখন্দ।
কোথাও যাবার আগে কতকাল ভাবি; লিখে রাখি দরকারি কাজ ও
বিনোদনমূলক আনন্দ। শয়নঘরের মতো অনিবার্য তুমি,
দুরন্ত মুকুল। কুক্কুরীয় সমাচ্ছন্নতায় প্রায় একই রকম অভিব্যক্তি
নিয়ে কিছু বিশেষত্ব ধরে রেখে, তোমার নাম পুচু-
আজ সাবেকীধারার সৌন্দর্যতত্ত্বে বিদ্ধ হ’য়ে তোমার কথা পারি।
সমুদ্রের দিকে যাই, ঢেউয়ের যৌথকলায় তবু বিশ্বাস আছে,
আমার সন্দেহ স্রেফ কাকের তাড়ায়;
কাক, পাখিত্বে পটু বীজ ছড়ানোর অপার দক্ষতায়।
এতকাল হ’ল পৃথিবীর বয়স; আছো গাছ, বনানীর কসমোলজিতে একা।
দারুচিনি গাছের চামড়া আমরা চা’র সাথে খেতে ভালোবাসি।
মন্তব্য