সর্মপন
ছ্যাড়াব্যাড়া কলমের কালি
দোয়াতের আঁচর লেগে
পবিত্র হউক তোমার
ক্লেদাক্ত আত্মা
সুবচনীয় বারতায়
গড়ে তোলা তুমি অবয়ব কালিমা
প্রভূ-
তোমায় ছাড়া বুঝি না
যতসব জীবন্ত আত্মারা
জীবন খুঁজে পায়
মৃত্যুর পরে
কীভাবে তড়পায় জিয়লশ্রেণি মাছ
দৈনিক টেবিলের সজ্জিত বাসনে
আমিষের অভাব শেষ হয়
কীভাবে জীর্ণ কায়া
ফুলে-ফেপে উঠে
তোমার ধূলিকাদা মাখা চোখের পরে
আর আমি ভাসতে ভাসতে
জলের ঠিক উপরে
মুখগুলো বাঁকা চাঁদের উঠান করে
প্রভুর,
পদতলে সর্মপিত হই
শামুকের ভিড়ে।
রফিক ডট টেলিকম
তোমার সাথে আমার সব বন্ধুত্ব শেষ
রফিক ডট টেলিকম
যখন তোমার ক্রেতারা আমার
ক্রেতা হয়ে ওঠে।
যতসব পবিত্র শরীর
আতরের ঘ্রাণ ছিটিয়ে
মুছে দিতে চায়
তোমার তৈজসপত্র সাজানো
ঘামের দুর্গন্ধ
তোমার সাথে আমার বন্ধুত্ব শেষ
রফিক ডট টেলিকম
যখন তোমার আশেপাশে
মৃত আত্মারা
জ্যান্ত হয়ে ওঠে
কল্পনার জন্তুর কথা ভেবে
তখন আমার সিগারেটের ধোঁয়া
বিষাক্ত হয়ে ওঠে
মূল্যহীন এই ঘামে ভেজা শরীরে।
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশা
তোমার আঙুল ধরে
খসে পড়ে
জীবাশ্ম পোড়া খাঁচাহীন
নির্লিপ্ত আত্মা
কর্কটকান্তি ছুঁয়ে
ঘোর অন্ধকারে
রাশিচক্রে ডুবে গ্যাছে
সমস্ত শরীর, ভেতরে ভেতরে
রক্ত রেণু পেয়ালা ভরে
চেটে খাচ্ছে তেলাপোকা, শুককীট
চমৎকার!
নৌকায় মৃত্যুর পসরা সাজিয়ে
কুলখানি রথের আশায়
বেশ তো!
বেঁচে আছি, জেগে আছি
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশায়
মিনাবাজার
মিনাবাজার
চষকভরা চায়ের লিকারে
রঙিন ঠোঁটে লীন হয়ে
জেগে ওঠো থেকে থেকে
আজন্ম পূনর্বার।
মিনাবাজার
কখনো বিধৌত নগ্ননারীর
শুভ্র স্থনে হাত রেখে
যৌবনে ঢেউ তুলে
কোলে করে রেখেছো
অন্তরঙ্গ, দুর্বার।
হালকা কুয়াশার চাদর মেঘে
নিয়ন আলোয় ছন্দের - ক্ষা
দুরপাল্লার আসে ঘোর অমানিশা
মায়াবী শূন্যতার।
মিনাবাজার।
সুন্দর
উত্তরমুছুনভাল লাগলো
উত্তরমুছুনভাল লিখেছেন
উত্তরমুছুন