যদিও-
হাতের মুঠোয় সাম্যের মিছিল -
শ্লোগান-
আগুন-
বারুদ-
কার্তুজ ভর্তি গুলি।
তবুও
তোমাকে ভালোবেসে-
বেদনায় তীর্থ জানি।
প্রেম-
তুমি মানে বেঁচে থাকা-তুমি মানে লড়াই করা।
তুমি মানে মৃত্যু-তুমি মানে বেদনায় তীর্থ
তুমি মানে স্বদেশ - লাল-সবুজ মানচিত্র।
২.
তাহারা কিছুই দেখেনি,
তাহারা কিছুই জানেনি,
তাহারা কেবলি শুনেছে- লোকমুখে।
যখন হলুদ জ্যোৎস্নার ভেতর খুন করা হলো,
একটি হত্যাকাণ্ড দেখলো অনেক-অনেক চোখ।
গভীর নৈঃশব্দ্যের ভেতর গুলির শব্দে-
যাহারা মুখ বাড়িয়েছিল জানালা খুলে-তাহারা জানালা বন্ধ করে দিলো।
শিশুর মুখ থেকে স্তন বের করে যে মহিলা দেখেছিলো-সে আবার শিশুর মুখে স্তন গুঁজে দিলো।
সঙ্গম ফেলে যে দম্পতি দেখেছিলো-তাহারা খিড়কি এঁটে আবার সঙ্গমে লিপ্ত হলো।
কেউ দরজায় দাঁড়িয়েছিলো,
কেউ বারান্দায় বসেছিলো,
অনেকেই ছিলো - রকে - উঠোনে।
যাহারা দেখলো- আর যাহারা দেখলো না-অথচ জানলো- তাহারা চুপ- তাহারা নির্বাক।
তাহাদের-মাতাল চোখের মত-জল-ছল-ছল নিস্পাপ চোখ।
সাংবাদিক পথ ঘুরে ঘুরে কোনো সংবাদ পায়নি,
পুলিশ ঘটনার কোনো কুল-কিনারা খুঁজে পায়নি।
লাশকাটা ঘর-পোস্টমর্টেম- রিপোর্ট-ডাক্তার - তথ্যের বদলে সংশয়।
অথচ-
মধ্যরাত্রির সপ্তর্ষিরা জানে নির্মম হত্যার কথা,
আলোকিত জোনাকিরা জানে আততায়ীর কথা,
শিশির জানে পায়ের দাগের কথা,
ঘাসেরা জানে জমাট রক্তের কথা।
গুলির শব্দে সচকিত একটি সারস
সে লিখে রাখলো- নির্মম হত্যার বিবরণ।
সেই সব মানুষ-যাহারা দেখেছিলো- আর যাহারা দেখেনি,
অথচ জানতো-তাহারা আজ- মূক-বধির-অন্ধ।
তাহারা কিছুই দেখেনি,
তাহারা কিছুই জানেনি,
তাহারা কেবলি শুনেছে- লোকমুখে।
৩.
শরীরে ঘামের ঘ্রাণ-হাতময় খুন-রক্ত
হাঙরের বনে-
জীবনের স্বাদ নিয়ে বেঁচে আছি
তবুও-
মৃত্যুর স্বাদ দিতে পারো কেউ।
সমকালীন প্রেমিকাগণ
অস্পরা-উর্বশী উদ্ধত ভালোবাসায়
জেনো-
আমি ব্যতীত পৃথিবীতে আর কোনো প্রেমিক নেই।
কালের যাত্রায় অনাহূত।
কারো শাসন-শোষন-ত্রাসনের বিরুদ্ধে-
আমি চন্ডাল
আমি বিভৎস দানব
আমি খুনের বদলে খুন
আমি রক্তের বদলে রক্ত
আমি কুড়ায় অনাহারীর হাড়
আমি অস্ত্রে দিই শান...
মন্তব্য