রাতের পোট্রের্টে তুমি
সকাল থেকেই দেখতেছি তুমি মারা গেছো
মানে মিডিয়া তোমারে ঘন করে কাভার করছে
চিরদিকের অকল্যাণে তুমি ছিলা নারী
অতি মাত্রায় মালের মতো
কেনাবেচা করা যায়, আন্ধারও হয়
তোমারে তো চাটতেছি আমি
মানে আমরা সবাই ঘন হয়ে দাঁড়াইছি
আর ঘন ঘন চাটতেছি
চটকায়ে দিতেছি কেমন
সন্ত্রাসে কী যে ভীষণ দিশাহীন আছি!
তোমার গলা পর্যন্ত
গলা পর্যন্ত
গলা
পর্যন্ত
সারা শরীর জুড়ে
শরীর জুড়ে
শরীর
জুড়ে
চোখ আর মুখটাও ঢেকে দিতে
চোখ আর মুখ
সেলাইয়ে
তোমারে বান্দীর মতো
চটকায়ে চটকায়ে
জল্লাদ হাসতেছে আজরাইল হাসতেছে
যম গোঁফে তেল মাখতেছে আর হাসতেছে
কী যে আনন্দসূচক পৌরুষ ছড়ায়ে আছি!
হাহাহাহাহাহাহা হাহাহাহাহাহা হাহাহাহা
তুমি মরে যাও, মরে মরে যাও….
যাও, কিন্তু মরে মরে মরে কাত হয়ে যাও!
শত্রু
আনন্দসম্ভব কালো তুমি,
সংকটাবস্থায় আরো নিজেরই মতন,
তথাপি খাঁড়া অতি খোঁড়া।
মায়ের গন্ধে বুক টনটন, নিয়তির মতো।
চাঁদের কেবলই আহ্লাদ
দৃশ্যত শত্রুর মতো।
হিংসা ফলাচ্ছি না,
প্রেম; সেও বিগত।
আকাশ যেরকম দূরে থাকে,
আদতে তো শূণ্য।
তোমারে নিজের ভেবে আরো শত্রু হলাম।
বন্ধু, মহাদেশ পকেটে লুকানো।
সহসাই সাহসের মতো, এতোটাই নিঃসঙ্গ।
শত্রুমুখো তুমি, ফানাফিল্লা
অপেক্ষার আযানে আহত।
বন্ধু, আরো রাত যাবে আরো ঘড়ি হয়ে যাবে চুপ।
এখন পোশাক জুড়ে
এখন পোশাক জুড়ে জেব্রা মতন ছড়ায়ে
তোমার সাথে হবে না ঠিক
তবু ঘটাবার মতো এমন আগ্রাসী-
সেই বদমাস।
গলার কাছে কী যেন
আক্ষেপ এক
হিংস্র ছুরির মতো ঠেকে।
তোমারে চাইতেছি না
তোমারেই চাইতেছি।
এমনই বেকুব খিদা মগজের ভিতর
নিরন্তর বিকাল সকাল
সারা বুক টনটন
আর তুমি খুব খুব অশান্তি মতন।
ইচ্ছা হয়তো জাগতেছে তোমার
কীসের? তার তো আগা-মাথা নাই
বিলকুল মেজাজ মতন।
বরফের আগুনের ধাঁচে
বুকেরও খুব কাছে
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
ছাইড়া দাও আমারে
আমারও ইচ্ছার মাথায়
ইচ্ছা-টিচ্ছা জাগে
এন্টি-ক্লক-ওয়াইজ নামে কিছু বেলা থাকে
কিন্তু সেগুলারে আজ কেন
এমন উজ্জ্বল বিতৃষ্ণার মতো লাগে
তুমি শিল্পী হইতে পারতেছ না
বেবাক রসের জ্ঞানে দূর্বল মতন।
চাঁদ ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাইতেছে
আর তেষ্টায় হাত কেমন নিশপিশ
আর তোমার যত মেজাজ বড়
তবু সরি হইতে পারতেছ না
আর তাই তোমারেই শিল্প করে দিতেছি দেখো।
ওয়াও৷ কবির প্রেমে পতন ঘটল আমার৷
উত্তরমুছুনভালো লাগলো৷ এই কবিকে আগে পড়িনি৷ প্রথম পাঠ৷ দারুণ!
উত্তরমুছুনGood poem. Like it
উত্তরমুছুন