চেতনার চিৎকার
স্নান সেরে মেয়েটির নগ্ন-পিঠ ডাকলো আমাকে
উচ্ছল আভায় মুড়িয়ে ছিলো সে
ক্লান্ত ঘুঘুর মতো চতুর আমার অবস্থান
চাতকের মতো তৃষ্ণার্ত আমার চাহনি
এ যেন চোখের নিমিষেই আঁচড় কাটবো তার শরীরে
কামজ্বরে নিভে গেলো আমার সমস্ত চেতনা,
বুলি আওড়ানো বিপ্লবী ভাষণ,
শোষিতের শ্রেণি সংগ্রাম,
কবিতার যতো ন্যায্য হাঁক-ডাক।
চায়না গোলাপি রঙের ঠোঁটে
আটকে রেখেছে তার স্তন ঢাকা পাতলা ওড়না,
পিট তখনো নগ্ন,
কোমড়ে আটকে আছে টিয়ে রঙের ভেজা পায়জামা।
মুগ্ধতার তুঙ্গে অপলক জোড়া চোখ
কিছুই যেনো ছাড়ছে না।
অকস্মাৎ চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হলো
মগজের নিজস্ব স্নায়ু চাপে;
আকাশের নীলের নিচে সোনালি মাঠ,
পাশে বয়ে চলা অগভীর নদী,
তার ঠিক মাঝে মেয়েটি ও তার উৎসুক আওভান।
ছুটে যেতেই চেঁচিয়ে উঠলো কিছু রক্তের মিছিল-
বাঁধের কারণে মুমূর্ষু নদীতে জল নেই,
রাষ্ট্রীয় অবহেলায় জমিতে শস্য নেই,
হাতি গেলার ক্ষুধিত পেটে একটিও দানা নেই,
অনাহারি মায়ের স্তনে দুধ নেই,
শিশুর চোখে জল নেই,
কৃষকের গায়ে আর জোর নেই।
উফ! এতো হাহাকার;
যেন স্রষ্টার চোখে ছানি,
রাষ্ট্রের অঘোর নেশা,
প্রেয়সীর ব্যর্থ আওভান,
কৃষকের ন্যায্য চিৎকার।
আমি যেন পতিত হচ্ছি ক্রমশ ব্ল্যাকহোলে,
ভেঙে পড়ছে মগজের প্রতিটি সেল,
আমি যেন অপ্রকৃতস্থ, নির্বিকার।
মেয়েটি ছুটে গেলো ক্ষুধার মিছিলে,
থেমে যায় আমার প্রেম, শুরু হয় আর্তনাদ।
অসুস্থ সভ্যতা
দেখছি আমি লুটতন্ত্র, দেখছি দিনে-রাতে
আমার অসুখ সবকিছুতেই, নুন পাই না ভাতে।
আসছে বছর সবই হবে, অভাব রবে না কারো
এ বছরটা বুটের তলায় আস্থা রাখতে পারো।
জংলি আলু, কলা গাছটা খাচ্ছে পাহাড়বাসী
তাদের কথা উঠলে আমার, পায় যে অট্টহাসি।
কাঁদবো কেন! ওরা কি আর মানুষ শ্রেণিতে পড়ে?
স্বপ্নগুলো বুটের তলায় পিষছে গায়ের জোড়ে।
কালাশনিকভ ফুটছে দ্যাখো, মরছে কিছু মাছি
আমরা সভ্য, আমরা ভদ্র, আমরাই বেঁচে আছি।
ভাসছে বানে উন্নয়নটা, টারবাইনটাও ঘুরছে
এবার কিছু হবেই হবে, তবু সভ্যতাটা পুড়ছে।
স্নান সেরে মেয়েটির নগ্ন-পিঠ ডাকলো আমাকে
উচ্ছল আভায় মুড়িয়ে ছিলো সে
ক্লান্ত ঘুঘুর মতো চতুর আমার অবস্থান
চাতকের মতো তৃষ্ণার্ত আমার চাহনি
এ যেন চোখের নিমিষেই আঁচড় কাটবো তার শরীরে
কামজ্বরে নিভে গেলো আমার সমস্ত চেতনা,
বুলি আওড়ানো বিপ্লবী ভাষণ,
শোষিতের শ্রেণি সংগ্রাম,
কবিতার যতো ন্যায্য হাঁক-ডাক।
চায়না গোলাপি রঙের ঠোঁটে
আটকে রেখেছে তার স্তন ঢাকা পাতলা ওড়না,
পিট তখনো নগ্ন,
কোমড়ে আটকে আছে টিয়ে রঙের ভেজা পায়জামা।
মুগ্ধতার তুঙ্গে অপলক জোড়া চোখ
কিছুই যেনো ছাড়ছে না।
অকস্মাৎ চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হলো
মগজের নিজস্ব স্নায়ু চাপে;
আকাশের নীলের নিচে সোনালি মাঠ,
পাশে বয়ে চলা অগভীর নদী,
তার ঠিক মাঝে মেয়েটি ও তার উৎসুক আওভান।
ছুটে যেতেই চেঁচিয়ে উঠলো কিছু রক্তের মিছিল-
বাঁধের কারণে মুমূর্ষু নদীতে জল নেই,
রাষ্ট্রীয় অবহেলায় জমিতে শস্য নেই,
হাতি গেলার ক্ষুধিত পেটে একটিও দানা নেই,
অনাহারি মায়ের স্তনে দুধ নেই,
শিশুর চোখে জল নেই,
কৃষকের গায়ে আর জোর নেই।
উফ! এতো হাহাকার;
যেন স্রষ্টার চোখে ছানি,
রাষ্ট্রের অঘোর নেশা,
প্রেয়সীর ব্যর্থ আওভান,
কৃষকের ন্যায্য চিৎকার।
আমি যেন পতিত হচ্ছি ক্রমশ ব্ল্যাকহোলে,
ভেঙে পড়ছে মগজের প্রতিটি সেল,
আমি যেন অপ্রকৃতস্থ, নির্বিকার।
মেয়েটি ছুটে গেলো ক্ষুধার মিছিলে,
থেমে যায় আমার প্রেম, শুরু হয় আর্তনাদ।
অসুস্থ সভ্যতা
দেখছি আমি লুটতন্ত্র, দেখছি দিনে-রাতে
আমার অসুখ সবকিছুতেই, নুন পাই না ভাতে।
আসছে বছর সবই হবে, অভাব রবে না কারো
এ বছরটা বুটের তলায় আস্থা রাখতে পারো।
জংলি আলু, কলা গাছটা খাচ্ছে পাহাড়বাসী
তাদের কথা উঠলে আমার, পায় যে অট্টহাসি।
কাঁদবো কেন! ওরা কি আর মানুষ শ্রেণিতে পড়ে?
স্বপ্নগুলো বুটের তলায় পিষছে গায়ের জোড়ে।
কালাশনিকভ ফুটছে দ্যাখো, মরছে কিছু মাছি
আমরা সভ্য, আমরা ভদ্র, আমরাই বেঁচে আছি।
ভাসছে বানে উন্নয়নটা, টারবাইনটাও ঘুরছে
এবার কিছু হবেই হবে, তবু সভ্যতাটা পুড়ছে।
মন্তব্য