সাগুর দানার মতো সুন্দর সব দিবস তোমাদের— আমি তো ডুবেছি অতল রক্তের নহরে
ইটের কনার মতো উৎসব; রাঙানো উপহারের লেজ ধরে উতরে যাচ্ছে ভাঙা পায়ের যৌবন
(তোমাদের মতো দিন ঠিক করে বিচার চাইতে পারিনা; স্মরণ করতে পারিনা মৃত্যুউপত্যাকার আহাজারি। যখন তিনশত পয়ষট্টি দিনই আমি রক্তের ভিতরে খুবলাতে দেখি শকুনের দাঁত; তাই কেবল একদিন তারা আমাদের দয়া করবে; এই মুখোশ পরিধানের সুযোগও দিতে পারিনা। আমি হাসতে হাসতে তিনশত পয়ষট্টি দিনই তাদের খেতে দিই আমার রক্ত ও লীলা)
ছেলেটি সাত তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যেতেই ফক করে হেসে দিচ্ছে সভ্যতার ফাঁকা অন্তর্বাস
(যে তোমাকে আমি বাঁচাতে পারিনা; তোমাকেই স্মরণ করছে কাঁদছি এই পাহাড়চূড়ায়— দূরে বাতাসে ভাসছে আগুনের ভান)
তের বছরই বয়স হবে? যে ছেলেটা পত্রিকা হাতে নিয়ে ঘুরতেছে শকুনি রাস্তায়? ফুলের মতো যার রক্তের গন্ধ; এভাবে পিষেছো তাকে যেন ছিন্ন পেখম; চোখে পরেনি তোমার
(তোমাকেই বলছি — যে তোমাকে বাঁচাতে পারিনি — তোমার মৃত্যুকে গান শুনাবো জিইয়ে রাখার; তাকে অপেক্ষার দিল দাও, দরিয়ার মতো)
মানুষ
ও মানুষ
হে মানুশশ
সভ্যতার যোনিমুখ খামচে ধরে আছো তবু্ও মানুষ মরলে অপেক্ষা করো দিবসের; মোমবাতির ক্ষয়িষ্ণু আলোতে স্মরণের;
হে মানুশশ
ও মানুষ
মানুষ
শাদা ভাত নিঃসন্দেহে কবিতার চেয়ে শ্রেষ্ট;
এবং এক দানা ভাত কয়েকশো কবিতার সমান।
মন্তব্য