আমরা কাগজ করি আমাদের চিন্তা প্রকাশের জন্য। বিন্দু আমাদের চিন্তা প্রকাশের মঞ্চ। আমরা যা চিন্তা করি তা-ই প্রকাশের জন্য বিন্দু বেরিয়েছে-বেরুচ্ছে-বেরুবে। ‘বাবু’ সাহিত্যিকদের ‘এলিট’ সাহিত্য চর্চার জায়গা বিন্দু নয়। এলিটগিরি প্রকাশ করতে যারা নিজেদের ‘শুদ্ধ সাহিত্যের প্রচারক’ বলে দাবি করে, আমরা তাদের এইসকল প্রাগৈতিহাসিক ব্রাহ্মণ্যবাদী চর্চা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পছন্দ করি।
আমাদের লেখা আমরা ছাপি, কার কি আসে-যায়
দ্বি-মত পোষণ করলে, লিখে উত্তর দিও তায়
আমরা মনে করি যে কোনো চিন্তা-মতামত বিষয়েই মতভেদ তথা ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু তা যদি যুক্তি নির্ভর না হয়ে একগুয়েমি কিংবা শ্রেণিস্বার্থ রার জন্য হয়, তবে তা আমাদের কাছে ভিন্নমত বলে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যেকোনো লিখিত প্রসঙ্গের ক্ষেত্রে লিখিত মতামতই আলোচনার যোগ্য হওয়া উচিত। এতে লেখার প্রতিটি পয়েন্ট ধরে আলোচনার সুযোগ থাকে। অবশ্য কারো যদি লিখিত জবাব দেবার যোগ্যতা না থাকে, সেটা আলাদা কথা। বিন্দুর দশম সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক চিৎকার-চ্যাচামেচি শোনা গেলেও একটিও লিখিত সমালোচনা আমরা পাইনি।
আমাদের লেখা আমরা ছাপি, কার কি আসে-যায়
দ্বি-মত পোষণ করলে, লিখে উত্তর দিও তায়
আমরা মনে করি যে কোনো চিন্তা-মতামত বিষয়েই মতভেদ তথা ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু তা যদি যুক্তি নির্ভর না হয়ে একগুয়েমি কিংবা শ্রেণিস্বার্থ রার জন্য হয়, তবে তা আমাদের কাছে ভিন্নমত বলে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যেকোনো লিখিত প্রসঙ্গের ক্ষেত্রে লিখিত মতামতই আলোচনার যোগ্য হওয়া উচিত। এতে লেখার প্রতিটি পয়েন্ট ধরে আলোচনার সুযোগ থাকে। অবশ্য কারো যদি লিখিত জবাব দেবার যোগ্যতা না থাকে, সেটা আলাদা কথা। বিন্দুর দশম সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক চিৎকার-চ্যাচামেচি শোনা গেলেও একটিও লিখিত সমালোচনা আমরা পাইনি।
পৃথিবীতে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ কখনো ছিল না, আজও নেই। ভিন্নমত প্রকাশের জন্য সক্রেটিসকে দেয়া হয়েছিল হেমলক, ব্রুনোকেতো পুড়িয়েই... এরই সর্বশেষ শিকার হুমায়ুন আজাদ। ...অনেকে আক্রান্ত; একই পথের যাত্রী।
তবুও... আমাদের কথা আমরা বলবই। যেভাবেই হোক আমাদের চিন্তা আমরা প্রকাশ করবই; কবিতায়, গানে, চিত্রকলায়...
আমাদের চিন্তা প্রচারিত হবেই। মাজা’র জোড় লেখাতেই প্রকাশিত হোক...
...এসব দেখি কানার হাট-বাজার
লালন সাঁইকে নিয়ে ভালো ব্যবসা ফেঁদেছে বাংলালিংক। ‘জাগরণের গান’ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধাদের বৃদ্ধাঙ্গুলিও দেখাল তারাই! আরেক দিকে গ্রামীণফোন আর এক জাতীয় দৈনিক মিলিয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরণে অতিশয় ব্যতিব্যস্ত। (নিজেদের সৎ প্রমাণের চেষ্টা?) সাধু! সাধু! তাবিজবিজয়ীইউনুসদীর্ঘজীবিহোক!
‘লালন-আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য’ ওদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
চিৎকার-চ্যাচামেচি করার জায়গা এইটা না। স্লোগান লেখার জায়গা এইটা না। রাজনীতিসচেতন সাহিত্য চর্চার জায়গা এইটা। এখানে শেষপর্যন্ত লেখক একা। লড়াইটা শেষপর্যন্ত তাকেই করতে হয়- প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে- শেষপর্যন্ত সক্রিয় থেকে... ... ...
[বিন্দু একাদশতম (প্রিন্ট) সংখ্যার সম্পাদকীয় । ২০১০]